সাব্বির আহম্মেদ, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আটি গ্রামের সনাতন ধর্মের নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী (১৪) ইভটিজিংয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীকে গত রাত দুটার সময় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর ক্ষেতলাল উপজেলার আটি গ্রাম থেকে সাত বখাটেকে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল।
আটককৃতরা হলো- ক্ষেতলাল উপজেলার ধনকুড়াইল গ্রামের হেলাল হোসেনের ছেলে সিহাব (১৯), একই গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (১৯), ইসলামপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনেরে ছেলে মোমিন (১৮) রামপুরা গ্রামের আক্কাস আলীর আশরাফুল ইসলাম (১৯) খলিলুর রহমানের ছেলে লিটন হোসেন (১৯) সুর্য্যবান গ্রামের আজিমুদ্দিন ইমন হোসেন,(১৮) আটিগ্রামের শামছুল হকের ছেলে সাজ্জাদুল (১৯) ।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে ওসি নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সিহাব নামে এক বখাটে যুুবক ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক বার বার ওই বখাটে কে সতর্ক করে দেওয়ার পরও, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ীর সামনে যখন তার মাকে ধান-সিদ্ধ শুকানোর কাজে সহযোগিতা করছিলেন। সে সময় বখাটে সিহাবসহ তার সাত জন সহযোগী ওই স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করা সহ তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রীটির আত্মচিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে আসলে ওই বখাটেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীরা তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেছেন। থানায় জিজ্ঞাসা শেষে আটকৃতদের আজ বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সময় জার্নাল/এমআই