অনুপম মল্লিক আদিত্য, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিল্পী আলপ্তগীন তুষারের প্রথম একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে বিভিন্ন মাধ্যমে করা সর্বমোট ৮৭টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে। প্রদর্শনীটি ১৯ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় গ্যালারি কায়াতে প্রখ্যাত শিল্পী হাশেম খান প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন।
প্রদর্শনীতে দেশের বিভিন্ন নবীন-প্রবীন শিল্পীবৃন্দ, চারু শিক্ষার্থী ও শিল্পপ্রেমী দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, আমি খুবই খুশি হয়েছি গৌতমের প্রতি এবং তুষারের প্রতি দীর্ঘদিন পড়ে হলেও এত সুন্দর একটা প্রদর্শনী আয়োজনে করার জন্য। বর্তমানে এদেশের চিত্রকলার যে সংস্কৃতি ধারা তৈরি হয়ে, সেটা আমি শুরু থেকেই কাজ করছি। আমাকে উৎসাহ দিয়েছে জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, শফিউদ্দিন। আমি সারাজীবন চেষ্টা করেছি, শিশুকাল থেকেই প্রতিটা মানুষের মধ্যে শিল্পবোধ তৈরি করতে।
প্রতিটা ব্যাক্তি কর্মজীবনে যে কোন সেক্টরই যাক না কেন, সবার মধ্যে শিল্পীবোধ থাকাটা প্রয়োজন। শিল্পী আলপ্তগীন তুষার বলেন, আমি গ্যালারি কায়ার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আমার কাজ গুলো প্রদর্শনের সুযোগের জন্য। ছবি আঁকার প্রতি আমার আগ্রহ একেবারে শিশুকাল থেকেই।
আমার যখন আড়াই-তিন বছর তখন থেকেই ছবি আঁকতাম। আমার এই দীর্ঘ জীবনে নানান বিষয় নিয়ে কাজ করছি, মাস্টার্সের সময় ক্যাথারসিস নিয়ে কাজ করেছি, মেটামরফোসিস ওপরও করেছি। এরপর করেছি লাইট এন্ড ডার্কের ওপর। আমি যখন শুনলাম মারা যাওয়ার আগেও ওস্তাদ গোলাম আলী খা নাকি সার গাম চর্চা করতেন। তাই বেসিকটা ঠিক রাখার জন্য এবং আমি আমার স্টুডেন্টদের জন্যে সবসময় একাডেমি কাজের চর্চা করছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে শিখতে পারে, সেগুলো নিয়মিত ফেসবুকে শেয়ার করি। ৫৭ বছরে ৪টি ধারায় কাজ করছি। এখনো সবগুলো ধারায় কাজ অব্যাহত।
শিল্পী শাজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, একজন আলপ্তগীন তুষার যুগে যুগে আসে না। অনেক দিন পরে আসে। তো সেই মানুষটিকে আমরা যেভাবে পেয়েছিলাম, কতটুকু তার পাশে থাকতে পেরেছি, কতটুকু সহযোগিতা করতে পেরেছি, কতটুকু ভালবাসতে পেরেছি, এটি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সমকালীন শিল্পকলা ও একাডেমিক শিল্পচর্চায় শিল্পী আলপ্তগীন তুষারের অবদান অসামান্য। তিনি বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এনআই