আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ পেরুর একটি সোনার খনিতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। রাতের শিফট চলাকালীন কমপক্ষে ২৭ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পেরু কর্তৃপক্ষ। ইয়ানাকুইহুয়া মাইনিং কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে যে দুর্ঘটনার পর ১৭৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই মাইনিং কোম্পানির অধীনেই নিহত ২৭ জন কর্মী কাজ করতো। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) নিচে খনির একটি অংশে শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।
সূত্রের খবর, ওই সোনার খনিটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখানে পৌঁছাতে কাছের পুলিশ স্টেশনটির সদস্যদের সড়কপথে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট। আর সবচেয়ে কাছের শহরে যেতে কয়েক ঘণ্টা লাগে। এই দূরত্ব জরুরি উদ্ধার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।
নিহতদের আত্মীয়দের বাসে করে আরেকুইপা অঞ্চলের ইয়ানাকিহুয়ায় খনিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
সেখানে নিরাপত্তা এজেন্টরা তাদের গোটা বিষয়টা জানান। কেউ কেউ তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহের জন্য খনির প্রবেশপথে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছেন।
মার্সেলিনা আগুয়েরে নামে এক নারী জানান নিহতদের মধ্যে তার স্বামীও ছিলেন। তিনি নাকি প্রায়শই বলতেন খনিতে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। স্বামী মারা যাবার পর দুই সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মার্সেলিনা। আরেকুইপার ফিসকাল ডিস্ট্রিক্টের পাবলিক মিনিস্ট্রি জানিয়েছে যে তদন্তকারীরা কী ঘটেছে তা স্পষ্ট করার জন্য কাজ করছেন।
প্রসিকিউটর অফিস মর্মান্তিক ঘটনার কারণ এবং এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর