নিজস্ব প্রতিবেদক:
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশের উপকূলে কত কিলোমিটার বেগে মোখা আঘাত করতে পারে তা নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে শুরু করে অনেক বিশেষজ্ঞ নানা মত দেন। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আপডেট তথ্য দেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
স্ট্যাটাসে আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার এর সর্বশেষ পূর্বাভাস উল্লেখ করে মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় প্রায় ১৭৭ কিলোমিটার বেগে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করতে পারে। তবে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার অনুসারে কক্সবাজার জেলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের যে অংশটি অতিক্রম করতে পারে সেই অংশটি অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী থাকবে। ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বভাস অনুযায়ী, আগামী রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে এর অগ্রভাগ আগের দিন অর্থাৎ শনিবার রাতেই বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করবে। মোখার ফলে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উপকূলে এবং অন্যান্য স্থানে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে বাংলাদেশেরও যথেষ্ট ঝুঁকি আছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে। আবার ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসের ঝুঁকিও তৈরি হয়।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এরই মাঝে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এমআই