সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
র্যাগিং বিরোধী স্লোগান শুধু মুখে নয়, মানসিকতায় লালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
তিনি বলেন, 'র্যাগিংটা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়,
এই অানাচার, এই পাপ আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যের বা যেকোনো ঘটনায় কালিমা লেপন করে। বিভিন্ন ব্যানারে যে স্লোগান গুলো দেখেছি, অথবা আপনারা যে স্লোগানগুলো মুখে দিয়েছেন, যদি সত্যিকার অর্থে সেগুলো আমরা মানসিকতায় লালন করতে পারি তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন পুরো বাংলাদেশকে এটি মুক্ত করা সম্ভব।'
সোমবার (১৫ মে) বেলা সোয়া ১১টায় 'র্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ি, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত র্যাগিং বিরোধী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এন্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আয়োজনে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপাচার্য বলেন, 'আমাদের দেশে বিশেষ করে মহিলাদের যে নিরাপত্তার কাজ, গত ১৫ বছরে যত আইন, নিয়মকনুন ও সচেতনতামূূলক প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উদ্ভুদ্ধ করছে তার প্রতিফলন আজ আমরা দেখতে পেলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে।'
তিনি বলেন, 'ভালো হবে আর যদি এভাবে রোদে পুড়ে এন্টি র্যাগিং স্লোগান দিয়ে জাগরিত না করে আমরা এটা মনে ধারণ করি, এবং এটাকে মনের ভেতর আটকে রেখে যাতে সেটাকে লালন করি। ভবিষ্যতে যদি এরকম প্রোগ্রাম আর করতে না হয়, আমরা তখন বুঝবো যে, হ্যাঁ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পাপমুক্ত অবস্থায় নিয়ে গেছি। শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার যে স্লোগান দিয়েছেন, আমি আপনাদেরকে সেই যোদ্ধা হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।'
এসময় এন্টি র্যাগিং বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনসহ বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে একটি র্যাগিং বিরোধী র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। র্যালিতে
বিভিন্ন হল, বিভাগ, সমিতি, ছাত্রসংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ স্ব-স্ব ব্যানারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে র্যাগিং বিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এমআই