এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর বেশ কিছু দিন ধরে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। এর একটি অংশে নেতৃত্বে দিচ্ছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি শামীম হক ও সাধারন সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ।
অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একে আজাদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বাবু বিপুল ঘোষ ও জেলা আঃলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ ফারুক হোসেন।
এ রাজনৈতিক দুই গ্রুপ এখন মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে রাজপথে এখন ফরিদপুরে ‘টক অব দ্যা টাউন’ এ পরিণত হয়েছে যা দৃশ্যমান ও জনগণের দাবি।
তারা আরো জানান, অপরদিকে গ্রুপ হিসেবে তারা মাঠে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে সমানতালে। উদ্দেশ্য একটিই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। ফরিদপুরের এই আসনটি ( সংসদীয় আসন ৩) রাজনৈতিক ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের প্রকাশ্য রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামী লীগের হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা আরো বলেন, এতে বিরোধী দলের জন্য রাজনৈতিক সুবিধা পাবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ জানান, ফরিদপুর জেলা আঃলীগ সভাপতি এবং আমি সাধারণ সম্পাদক মিলে মিশে দলের সকল কে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছি এবং এ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় লাভের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এ কে আজাদ সাহেব আলাদা একটি প্লাটফর্ম করার চেষ্টা করছে।
অপর দিকে এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা আঃ লীগের সহ সভাপতি ফারুক হোসেন জানান, আমরা এ কে আজাদকে নিয়ে আঃ লীগের রাজনীতি করছি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দলের সাথে সম্পৃক্ত রাজপথের দুর্দিনের নেতা কর্মীরা যারা তাহারা আমাদের সাথে আছে। তাদেরকে নিয়ে আমরা আওয়ামী রাজনীতির শক্ত অবস্থানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
তবে সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কথা বললে ও আওয়ামী লীগের দুই নেতা তাদের মাঝে গ্রুপিং নেই বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, এই আসনটি এক সময়ের বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। ফরিদপুর এই আসন থেকে প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে একাধিকবার মন্ত্রীও হয়েছিলেন।
ওয়ান ইলেভেনের পরে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন ৩ বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়ে দুই বার মন্ত্রী হয়েছিল। বতর্মানে তিনি এ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
সময় জার্নাল/এলআর