সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রাচীন গ্রাম রাবান। সেখানকার আনারসের খ্যাতি দেশজুড়ে। রাবানের আনারসের স্বাদ ও গুনগত মানের কারণে আলাদা খ্যাতি রয়েছে। এ মৌসুমে ভাল ফলন পেতে কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার রাবানের আনারস মানেই রসে ভরপুর, আর স্বাদে যেনো অমৃত। শত শত বছর ধরে এই গ্রামে মৌসুমি ফলটির চাষ হচ্ছে। এসব আনারসকে ঘোড়াশাল জাতের বলা হলেও সবাই বলেন, অনবদ্য স্বাদের কারণ রাবান গ্রামের মাটির গুণ।
এবছর সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় আনারসের ফলন ভালো। তাই লাভের আশা করছেন কৃষক ও পাইকারী বিক্রেতারা। বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা ভীড় জমাচ্ছেন রাবান এলাকায়।
রাবানের মাটির ধরন, পরিবেশ এবং ফল গাছে প্রয়োগকৃত জৈব সারের বৈশিষ্ট্যের কারণেই এখানকার আনারসের স্বাদ বেশি হয়ে থাকে। শত শত বছর ধরে এই গ্রামে চাষকৃত আনারস মূলত হানিকুইন নামের একটি জাত থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
একে ঘোড়াশাল জাতের আনারস বলা হয়ে থাকে। তবে জাতের চেয়েও এখানকার মাটির গুণই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। একটু উঁচু জমিতে আনারসের চাষ করা হয়। এলাকাটি একটু উঁচু হওয়ায় অতিবৃষ্টি কিংবা বন্যা পৌঁছতে পারে না।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. ছাইদুর রহমান বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রাবানের আনারস চাষ বাড়তে নানা সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এ বছর জেলার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে এই আনারস।
সময় জার্নাল/এলআর