লাবিন রহমান:
একসময় কোরবানির ঈদের জন্য আমরা অনেকটাই নির্ভর ছিলাম বিদেশি গরুর উপর। বিশেষ তরে ভারতীয় গরুর উপর।সীমান্ত দিয়া বৈধ-অবৈধ পথে আসত সেসব গরু। সে দৃশ্য পাল্টে গেছে বহু আগেই। গত কয়েক বছর দেশি পশু দিয়েই কোরবানি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে আনা লাগছে না।
দেশে চাহিদার তুলনায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা বেশি আছে। তাই ঈদুল আজহায় দেশি গবাদিপশুতে ভরসা রাখার পক্ষে সরকারও। সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে পশু না আনা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে খামারিদের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, গত বছর দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। ঈদুল আজহায় কোরবানি করা হয় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু। এবারও খামারিরা একটা আনুমানিক হিসাব করে বলছেন কোরবানিযোগ্য পশু যথেষ্ট পরিমাণে আছে।
‘গত বছর ৯৯ লাখ ৫০ হাজার গবাদিপশু কোরবানি হলেও এবার একটু বেশি হবে বলে আমরা আশা করছি। কারণ এটা নির্বাচনী বছর। সেজন্য কোরবানি বেশি হতে পারে। তাতে যদি ১ কোটি ১০ লাখও হয় তবুও গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকবে। গবাদিপশুর অভাব হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই’- বলেন ইমরান হোসেন।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের মতে, এ বছর দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৭ বা ১৮ লাখ হতে পারে। আর কোরবানি করা হতে পারে ১ কোটি ১০ লাখের মতো পশু। সে হিসেবে দেশি গবাদিপশু আরও উদ্বৃত্ত থাকবে।
এদিকে, দেশে পর্যাপ্ত গবাদিপশু থাকার পরও কোরবানি উপলক্ষ্যে সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে আসা হচ্ছে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং সচিবের কাছে অভিযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।
গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। আট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগে। তবে ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে গরু ও মহিষ বেশি কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর