শেকৃবি প্রতিনিধি:
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে(শেকৃবি) বহিরাগত একজন নারীকে ছাত্র হলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে দুইজন হল নিরাপত্তারক্ষীকে। অভিযুক্ত ছাত্রনেতা এস এম সজিব হোসাইন। তিনি এর আগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ শাখার সভাপতির পদ থেকে বহিস্কৃত হন৷ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গতবছর আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখা তাকে বহিস্কার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে(মঙ্গলবার) রাত ১০টা ৮ মিনিটে বহিরাগত এক নারী এবং ৫-৬জন ছেলেসহ হলের ২১৯ নম্বর তার নিজ কক্ষে ঢুকেন হলটির ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি এস এম সজীব হোসাইন। দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর রাত ১২টা ৫ মিনিটে তারা হল থেকে বেরিয়ে আসেন। পরবর্তীতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত হলে সজীব হোসাইন তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, সাথে আসা সে নারী তাদের কক্ষের সাবেক একজন ভাইয়ের স্ত্রী। তাদের বিয়েতে তাদের কক্ষের কেও উপস্থিত থাকতে না পারায় কক্ষের অন্য সদস্যরা তার উপস্থিতিতে সেই কক্ষেই কেক কেটে তা উদযাপন করেন। এ ব্যাপারটি হল প্রভোস্টের অনুমতিক্রমে হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে হল প্রভোস্ট অনুমতি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় সোমবার(২২ মে) হল নিরাপত্তারক্ষী দুইজনকে শোকজ করা হয়েছে। এদিকে মূল অভিযুক্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে হল নিরাপত্তারক্ষীকে নোটিশ দেয়ায় তা সমালোচিত হয় শিক্ষার্থীদের মাঝে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে গাফিলতি করায় আমরা তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। সজীব হলে মেয়ে নিয়ে প্রবেশের এবং বের হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। আমি তাকে এধরণের কোন অনুমতি কীভাবে দিতে পারি৷ এটাতো নিয়ম বহির্ভূত। তাকে ঘটনার পরদিনই সতর্ক করা হয়েছে। সে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে এটা আমি জানতাম না। তবে তার ব্যাপারে পরবর্তীতে আর কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি দেখবো।
হল প্রভোস্টের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সজীব হোসাইন বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং তার রুমমেটদের সাথে কথা বলতে বলেন। ঘটনা পরবর্তী কোন সতর্কবার্তাও পাননি বলে জানান তিনি।
এমআই