নিজস্ব সংবাদদাতা। সময় জার্নাল : মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের চাপের কারণেই শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। ফেরিটিতে প্রায় ১২শ’ যাত্রী ছিল।
বরগুনাগামী যাত্রী হাসান বলেন, ‘লঞ্চসহ দূরপাল্লার পরিবহন তো বন্ধ। ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরতে হবে। নৌ-রুটে শুধু ফেরি চলছে। আজ প্রচুর ভিড় ছিল ফেরিতে।’
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের পারাপারের জন্য ফেরির বিকল্প কোনো নৌযান না থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই যাত্রী উঠে যাচ্ছে। এতে করে গাড়ি উঠতে পারছে না ফেরিতে। বাধ্য হয়েই শুধু যাত্রীদের নিয়ে ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূর পাল্লার যাত্রীরা শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে। মাইক্রোবাস, থ্রি হুইলার আর মোটরসাইকেলযোগে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ বেশি। দীর্ঘপথে তাদের কয়েক দফা গাড়ি পাল্টে যেতে হচ্ছে। আর গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা-বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন থেকে ঈদের পরবর্তী এক/দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে ঘাটে।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকালে একটি রোরো ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। শুধু যাত্রী নিয়েই ফেরিটি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসে। সারাদিনই যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে ঘাটে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোরে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাট সংলগ্ন কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে নোঙর করে রাখা একটি বালুবোঝাই নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ২৬ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কিছু কিছু স্পিডবোট নিয়ম ভেঙে যাত্রী পারাপার করতো। শিমুলিয়া ঘাটের কিছুটা দূরে গিয়ে যাত্রী তুলে এসব স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটে আসতো। আবার এই পাড়ের ঘাটের বাইরে গিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রী তুলে শিমুলিয়া যেতো।
নৌ-পুলিশের টহল থাকলেও তাদেরকে ম্যানেজ করেই এসব স্পিডবোট চলতো বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউ