এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের একাধিক অটো রাইস মিল মালিকেরা খাদ্য বিভাগের সরকারি চাউল গোডাউনে সরবরাহের অনুমতি না পাবার অভিযোগ করেছেন।
কানাইপুরের আকাশ অটোরাইস মিল ও লালন অটো রাইস মিল এই দুই মিল সরকারি গোডাউনে চাউল সরবরাহ তালিকা থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লালন অটো রাইস মিলের মালিক সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, প্রতি বছর আমরা সরকারি খাদ্য গোডাউনে চাউল সরবরাহ করে থাকি। আমি খাদ্য বিভাগের তালিকা ভুক্ত একজন ব্যবসায়ী কিন্তু এ বছর চাউল সরবরাহ করতে পারি নাই।তিনি আরো জানান, ফরিদপুরের জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানিয়ছেন মন্ত্রণালয় থেকে আপনার নামের তালিকা আসে নাই। যাদের নামের তালিকা এসেছে তাদের চাউল সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে আকাশ অটো রাইস মিলের মালিক আকাশ জানান, আমরা প্রতি বছর খাদ্য বিভাগে সরকারি গোডাউনে চাউল সরবরাহে অনুমতি পাই কিন্তু এ বছর অদৃশ্য ক্ষমতার কারনে আমি অনুমতি চাইনি। আকাশ আরো জানান, আমার পাশে একটি রাইস মিল আছে।যার নাম বর্ষা রাইস মিল।এই রাইস মিলের মালিক হচ্ছে বিপ্লব সাহা। এ মিলটি বছরের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে অথচ এ বন্ধ মিলটি কে প্রতি বছর চাউল সরবরাহের অনুমতি দিয়ে থাকে। তিনি আরো জানান, যে রাইস মিল নিয়মিত চালু থাকবে তারা সরকারি খাদ্য বিভাগের গোডাউনে চাউল সরবরাহ করতে পারবে। এই নিয়ম থাকা সত্বেও বিপ্লব সাহা অনুমতি পেলো।
কানাইপুরের স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান, বেশিভাগ সময় বিপ্লব সাহার মিল টি বন্ধ থাকে। আবার মাঝে মাঝ চালু হয়। তারা আরো জানান, খাদ্য বিভাগ থেকে যখন চাউল সরবরাহের অর্ডার পায় তখন দেখা যায় মিলটি চালু করা হয়।
এ বিষয়ে বিপ্লব সাহা জানান, আকাশ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিক্তিহীন। তিনি আরো জানান, গত মৌসুমে চাউল বরাদ্দে চুক্তি বদ্ধ হয়েছিল এবং সরকারকে যারা সময় মতো চাউল সরবরাহ করতে পারে নাই। তাদের কে খাদ্য বিভাগ কালো তালিকা ভুক্ত করেছে। ঐ তালিকার মধ্যে রয়েছে অভিযোগ কারি আকাশ ও।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসি ফুড) খন্দকার ফরহাদ জানান, গত মৌসুমে (গত) বছর যে সকল মিল মালিকরা চাউল সবরাহ করেছিল তারা এ মৌসুমে চাউল সরবারহের জন্য মন্ত্রণালয়ে কোন আবেদন করে নাই। মন্ত্রণালয়ে
যারা আবেদন করেছে তাদেরকে সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুমতি দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি মিল মালিককে মৌসুমের পৃর্বে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মিল মালিকরা জানান, ফরিদপুরের খাদ্য বিভাগে কিছু স্বজনপ্রীতি হয় কিন্তু ব্যবসায় সমস্যা হবে বা হতে পারে বিধায় কিছু বলতে পারি না। তারা আরো জানান, বোয়ালমারী সহ কয়েকটি মিল আছে তাদের উৎপাদনের কোন ক্ষমতা নেই তারা ও বরাদ্দ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ফরিদপুরের নয়টি উপজেলায় ৯৭৫০ মেঃ টন সিদ্ধ চাউল সংগ্রহে লক্ষমাত্রা।
এমআই