অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর শহরে খাবার হোটেলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল, পঁচা ও বাসি খাবার বিক্রি করায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হোটেল মালিকসহ ২জনকে আটক করা হয়।
জেলা শহরের ঝুমুর চত্বরে অবস্থিত ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ হোটেল মালিক সবুজ ও কশাই চৌধুরীকে আটক করে। কয়েক ঘন্টা পর মুচলেকা নিয়ে পুলিশ দুইজনকে ছেড়ে দেয়।
দিনব্যাপী শহর জুড়ে মানুষের মুখে-মুখে একটাই কথা ছিলো ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এর-আগ গতরাতে পুলিশ ঝুমুর হোটেল ও কশাই চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি চাঁদখালী মসজিদ বাড়ীর তার ঘর থেকে মাংস উদ্ধার করে।
কশাই চৌধুরীর নিজ মালিকীয় দুইটি ঘোড়া মাদাম স্নানঘাটা নামক স্থানে জবাই করা হয়। পরে ঘোড়ার মাংস ঝুমুর হোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে কশাই চৌধুরী। তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘোড়ার মাংস জব্দ করে।
ঝুমুর চত্বর এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক মো. সিরাজ জানান-‘আমার রিকশায় ভরে কশাই চৌধুরী স্নানঘাটা থেকে ঝুমুর হোটেলে মাংস দেয়। পরে আমি শুনেছি মাংসগুলো ঘোড়ার মাংস।’
সিএনজি চালক কবির বলেন-’আমরা সবসময় এ ঝুমুর হোটেলে নাস্তা করি। অনেক সময় দুপুর বেলা মাংস দিয়ে খাবার খাই। আজ শুনলাম এ হোটেলে ঘোড়ার মাংস পাওয়া গেছে।’
লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের আইনজীবী সহকারী রাসেল হোসেন বলেন, গরুর মাংস নয়, ঘোড়ার মাংস বিক্রি হয় হোটেলে বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে। প্রশাসন যদি অভিযান পরিচালনা করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা করে সকলেই।
ঝুমুর হোটেলের স্বত্বাধিকারী মো. সবুজকে হোটেলে এসে পাওয়া যায়নি। তবে ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা গরুর মাংস বিক্রি করি। একটি চক্র ও কশাই চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন -‘খবর পেয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কশাই চৌধুরী ও হোটেল মালিক সবুজকে এনেছি। মামলা দেয়ার জন্য কোনো অভিযোগকারী বা সাক্ষী ছিলো না। মাংস গুলো কিসের মাংস পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।’
সময় জার্নাল/এলআর