মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রয়োগ নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে

মঙ্গলবার, মে ৩০, ২০২৩
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রয়োগ নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :


বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (ডিএসএ) প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার।১২ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসএ-এর প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক।শ্যুটার বলেন, এ আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ২ হাজার চারশ’র বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অনেককে দীর্ঘ সময় আটক রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগের কারণে আটক করা হয়েছে।এ আইনের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন না হওয়া অবধি আইনটি স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক।এ সময় বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন শ্যুটার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে খুব ভালো করছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তা এখনও টেকসই নয়। কেননা, যারা দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হতে পেরেছে পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনৈতিক কারণে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হতে পারে।


বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন জাতিসংঘের এই বিশেষ প্রতিবেদক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০০০ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল ৪৮.৯ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে ৩৪.৩ শতাংশ লোক। কিন্তু বর্তমানে এর সংখ্যা যথাক্রমে হচ্ছে ১৮.৭ শতাংশ ও ৫.৬ শতাংশ।তৈরি পোশাকখাতে ন্যূনতম মজুরি ৫১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন শ্যুটার। তার মতে, বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে তৈরি পোশাক খাত অন্যতম। তাই এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে শ্রমিকদের ভালোভাবে মূল্যায়ন করা দরকার। তারা ন্যূনতম যে মজুরি দেওয়া হচ্ছে, বর্তমান বাজারের সঙ্গে এটি মোটেই সামঞ্জস্য নয়।


জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু গত বছর বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনীত কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুতর কারণে ভোটও দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ধনী দেশগুলোর অর্থায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শ্যুটার।এখনই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অনুকূল পরিস্থিতি হয়নি বলে মন্তব্য করেন ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন হওয়া জরুরি। তবে রোহঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব চায়, তাদের আরও দাবি দাওয়া আছে। এসব নিশ্চিত না হলে তাদের প্রত্যাবাসন টেকসই হবে না।


তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত সম্ভব হবে। প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করা দরকার। যাতে রোহিঙ্গাদের প্রতি সঠিক আচরণ করে তারা।রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও তহবিল দেওয়ার আহ্বান জানান শ্যুটার । তিনি বলেন, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে জরুরি মানবিক প্রয়োজন মোকাবিলায় ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যৌথ পরিকল্পনার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দাতারা এতই কম অবদান রেখেছে যে চাহিদার মাত্র শতকরা ১৭ ভাগ অর্থায়ন জোগাড় হয়েছে। মার্চ ২০২৩ সাল থেকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে তার খাদ্য ভাউচারের মূল্য প্রতি মাসে ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করতে হয়েছে। এটি আগামী জুনে আরও কমিয়ে ৮ ডলার করা হবে।



এসএম



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল