সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্কঃ চাকরিজীবীরা বাড়িভাড়া,
যাতায়াত ও চিকিৎসা ভাতাসহ
নানা ধরনের ভাতা পান। এসব ভাতার পুরো টাকার ওপর কর বসে না। ভাতার নির্দিষ্ট পরিমাণ
টাকা করমুক্ত। এই সীমা অতিক্রম করলে বাকি টাকার ওপর কর বসে।
২০২৩–২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এসব ভাতায় করের অব্যাহতি তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগের ১৬৭ নম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রুলস ৩৩, ৩৩এ, ৩৩বি, ৩৩সি, ৩৩ডি, ৩৩ই, ৩৩এফ, ৩৩জি, ৩৩এইচ, ৩৩আই ও ৩৩জে বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে বাড়িভাড়া এবং যাতায়াত ও চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার টাকার করমুক্ত সীমা উঠে গেছে। সে অনুযায়ী সব ভাতার ওপর কর বসার কথা।
এ নিয়ে করদাতা অনেকে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের মতামত জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এ নিয়ে বড় দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই চাকরিজীবীদের। নতুন একটি আয়কর আইন চলতি বাজেট অধিবেশনেই পাস হতে পারে। সেটি পাস হলে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ অকার্যকর হয়ে যাবে। নতুন আইনের আওতায় আবারও ওই সব ভাতায় করছাড় মিলবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে
জানা গেছে, আজ রোববার নতুন আয়কর আইনটি বিল আকারে সংসদে উত্থাপন হতে পারে। নতুন আইনের
খসড়ায় একজন করদাতার সারা বছরে সব ভাতার টাকার মধ্যে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত কিংবা
বার্ষিক মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মধ্য যেটি কম তা করমুক্ত থাকবে।
চলতি জুন মাসে যদি কোনো করদাতা জরিমানা এবং সুদ দিয়েও রিটার্ন দিতে যান, তাহলে কি ওই
করদাতাকে সব ভাতার ওপর কর দিতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, না। কারণ, এনবিআরের ওই
প্রজ্ঞাপনটি আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এর মধ্যে বাজেট অধিবেশনে নতুন আইন পাস
হতে পারে। নতুন আইন অনুযায়ী সব ভাতার সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত কিংবা মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ—যেটি
কম হবে, সেটিতেই ছাড় মিলবে।
বর্তমানে ৩০ লাখের মতো করদাতা প্রতিবছর
বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেন। তাঁদের মধ্যে ১০-১২ লাখ রিটার্ন জমাকারী চাকরিজীবী।
তাঁরাই মূলত এসব ভাতায় কর রেয়াত সুবিধা পান।
এত দিন কী সুবিধা ছিল?
একজন চাকরিজীবী বাড়িভাড়া হিসেবে বছরে যত টাকা পান, এর মূল বেতনের ৫০ শতাংশ (১২ মাসের) কিংবা মাসিক ২৫ হাজার টাকার মধ্যে যা কম হবে, তা–ই করমুক্ত ছিল এত দিন। চিকিৎসা ভাতার হিসাবও অনেকটা এ রকমই। মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে যা কম, সেটিই ছিল করমুক্ত। তবে বড় ধরনের চিকিৎসা খরচ যেমন, হার্ট, কিডনি, চক্ষু, লিভার ও ক্যানসারের সার্জারির খরচের পুরোটাই করমুক্ত ছিল। এ ছাড়া যাতায়াত ভাতার ক্ষেত্রে বছরে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ছিল। এর বাইরে স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, অফিস থেকে গাড়ি পেলে, গ্র্যাচুইটি তহবিল, শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিলসহ বিভিন্ন খাতে শর্তসাপেক্ষে করমুক্ত সুবিধা ছিল।
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল