মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছাত্রাবাসে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক মাদক গ্রহণের সরঞ্জাম, মদের খালি বোতল এবং টবের মধ্যে রোপনকৃত গাঁজার গাছ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আইএইচটির কর্তৃপক্ষ।
আইএইচটির সূত্র জানা যায়, আইএইচটির সহকারী পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ রবিউল ইসলামকে তদন্ত টিমের প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, প্রভাষক ডাক্তার শাহ মো. মোখলেছুর রহমান, প্রভাষক ডাক্তার মালিহা মালবিকা মিমু, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. ছানোয়ার হোসেন এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ফার্মেসি) মো. রবিউল ইসলাম।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. প্রদীপ কুমার সাহা। ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসের ভিতরে স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষার্থীরা তাদের কার্যক্রম করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আইএইচটির পঞ্চম ব্যাচের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রিফাত আহমেদ ফারাজির নেতৃত্বে একদল বহিরাগত ছেলে ছাত্রাবাসের ৩২০ নম্বর কক্ষে ঢুকে মাদক সেবন করতে থাকে। এতে কক্ষে অবস্থানরত জীবন মিয়া প্রতিবাদ করলে রিফাত ফারাজিসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে রিফাত গুরুতর আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জাতীয় জুরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে রাত ৮টার দিকে ইসলামপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে রাত ১১টার দিকে জামালপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বের একদল সদস্য গভীর রাতভর অভিযান চালায় ছাত্রাবাসে। এ সময় ১টি মোটরসাইকেলসহ ছাত্রাবাসের ৩২০ ও ২১৪ নম্বর কক্ষ থেকে মাদক গ্রহণের সরঞ্জাম, ৭টি মদের খালি বোতল এবং টবের মধ্যে রোপনকৃত একটি ছোট্ট গাঁজা গাছ উদ্ধার করে তাঁরা। এ ব্যাপারে জামালপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, 'ছাত্রাবাসের কক্ষ থেকে মাদক গ্রহণের সরঞ্জামসহ মদের খালি বোতল এবং টবের মধ্যে রোপনকৃত একটি ছোট্ট গাঁজা গাছ উদ্ধার করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে আমরা একটি তদন্ত টিম গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তদন্ত কমিটির সদস্য প্রভাষক ডাক্তার শাহ মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, 'ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জামা দেওয়া হবে।'
এমআই