নিজস্ব প্রতিনিধি:
৫ জুন রাজধানীতে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি না মেলায় আজকের কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি। একই সাথে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে জামায়াত।
আগামী ১০ জুন, শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে দুপুর ২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, জনগণের দাবি আদায়ে আন্দোলন, সংগ্রামে বদ্ধ পরিকর। আমরা জনগণের দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবো না ইনশাআল্লাহ। তীব্র আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জুলুমবাজ, অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
নতুন কর্মসূচি দিয়ে তারা বলেন, আমরা আশা করছি, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা পাবো। পুলিশ প্রশাসন যেন- গণতন্ত্র বিরোধী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে নিজেদের প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড় না করায় আমরা সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, আপনারা জানেন, বাংলাদেশে এক কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভোট ডাকাতি, দখলদারি, গুম, খুন, দুঃশাসন এবং বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশ গভীর সঙ্কটে নিপতিত।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তৈল, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ গ্যাস সবকিছুর মূল্য আকাশচুম্বি এবং তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ জনগণের উপরে গণবিরোধী নানা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে আওয়ামী লুটেরা ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। কোটি কোটি মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করে। জামায়াতকে সভা সমাবেশ করতে না দিয়ে কোটি কোটি মানুষের অধিকার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের বিশ্বাস ছিল, সরকার শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি দিবে।
কিন্তু সরকার এবারো অনুমতি না দিয়ে সংবিধান ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। রাজধানীতে কি শুধু ছুটির দিনে সভা সমাবেশ হয়? অন্যান্য রাজনৈতিক দল কর্ম দিবসে সভা সমাবেশ করতে পারলে জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে কেন নয়।
সময় জার্নাল/এলআর