নিজস্ব প্রতিবেদক:
সকাল থেকেই রাজধানীর ঢাকার আকাশ মেঘলা। নেই চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া রোদ। কম অনুভূত হচ্ছে গরমের তীব্রতা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে বলছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গা ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় বয়ে যেতে পারে দমকা হাওয়া। বৃষ্টির সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাত। ফলে চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। তবে অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ইতোমধ্যে ৪ জেলায় ছড়িয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে হয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
দিনাজপুর, যশোর ও সৈয়দপুর জেলার তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এসেছে। দেশের অন্যান্য জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ।
আজ বুধবার সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও গতকাল রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান ছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতা ছিল ৬৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র ও ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে তদুর্ধ্ব তাপমাত্রা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিবেচনা করা হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, 'ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।'
৬ জেলায় নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহওয়া অধিদপ্তর।
নাজমুল হক বলেন, 'বরিশাল, ভোলাসহ কোস্টাল বেল্টে সাগরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ সময় বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা বাতাসও বয়ে যায়। সাগর থেকে আসা বাতাসে যেন নৌদুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।'
এমআই