সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১০ জুন) ব্যাংকটির কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রধান শেখ বিন মোহাম্মদকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক ও খুলনা সার্কেল অফিসের এসটিও আব্দুল হালিম। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এখনও কমিটির লিখিত কপি হাতে না পেলেও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৌখিক নির্দেশের মাধ্যমে কমিটি করে দিয়েছেন বলে জানান কমিটির সদস্য এনামুল হক।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৌখিক নির্দেশের মাধ্যমে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনা ঘটায় এবং তাৎক্ষণিক কমিটি করায় এখনো লিখিত কপি পাইনি, হয়তো দ্রুতই পেয়ে যাবো। খুলনা থেকে কমিটির সদস্য কুষ্টিয়ায় এসেছেন। নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়নি, তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে। আমরা শনিবার থেকে কাজ করছি।’
তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ বিন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। আশাকরি আগামী কালকের মধ্যেই তদন্ত শেষ হবে৷ তদন্ত শেষ হলে দুই একদিনের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিব।’
জানা যায়, বিল্ডিং নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসার জেরে গত বুধবার প্রাতঃভ্রমণে বের হলে কুষ্টিয়ার হাউজিং ডি ব্লক আবাসিক এলাকায় ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর অতর্কিত হামলা করেন অগ্রণী ব্যাংক চৌড়হাস শাখার কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ।
পরদিন সকাল ৯টায় হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার ম্যানেজারের মাধ্যমে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০২২ সালের ৭ জুনও ওই ব্যাংক কর্মকর্তার হামলার শিকার হয়েছিলেন ভুক্তভোগী ও তার সহকর্মী অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।
সময় জার্নাল/এলআর