বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিরল রোগে ২ সহোদর আক্তান্ত

মঙ্গলবার, জুন ১৩, ২০২৩
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়  বিরল রোগে ২ সহোদর  আক্তান্ত

এহসান রানা,  ফরিদপুর প্রতিনিধি: 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আবির হুসাইন নাঈম ও নূর হোসেন নামে আপন দুই সহোদরের শরীরে বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পারিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, তাদের চোখ, নখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

কিছুতেই গরম সহ্য করতে পারেনা তারা। ৩—৪ মিনিট পর পর শরীরে পানি ঢালতে হয় তাদের। রক্ত বের হতে থাকলে দেখা দেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। অনেক সময় হাত—পা কুঁকড়ে ধরে যায়। জন্মের পর থেকে দুই ভাইয়ের শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে ।

 এ অবস্থায় চলছে বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও শিশু নূর হোসেনের (৪) জীবন চরেছে। বিরল রোগে আক্রান্ত দুই শিশুকে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতসহ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত রোগটিই শনাক্ত করা যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১২—১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে পরিবারটির। এখন ভিটে—মাটি ছাড়া কিছুই নেই ওই পরিবারের। ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পুনরায় সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বললেও বর্তমানে পরিবারটি পড়েছে অর্থ সংকটে। এক চা দোকানী বাবার পক্ষে সব হারিয়ে দুই সন্তানের সুচিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে শিশু দুইটির সবরকম চিকিৎসা বন্ধ গেছে।

আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও নূর হোসেন (৪) আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা দোকানী হাবিবুর রহমান ও রাবেয়া বেগম দম্পত্তির সন্তান। দুই সন্তানের চিকিৎসার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন তারা। তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যম হচ্ছে— হাবিবুর রহমান, ব্যাংক হিসাব নম্বর— ২৮০১৯২২৯৬৮০০১, সিটি ব্যাংক, আলফাডাঙ্গা শাখা, ফরিদপুর এবং বিকাশ নম্বর— ০১৯২৩৫২৯৯৩২।

 মঙ্গলবার  উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা বিক্রেতা হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ১৮ বছর আগে রাবেয়া বেগম নামে এক ভদ্র মহিলা সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের প্রথম সন্তান সুরাইয়া এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মের ১০ মাস পর মারা যায়।

এরপর আল্লাহ তাদের সংসারে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈমও চার বছরের শিশু নূর হোসেনে এ রোগে আক্রান্ত হয়। বড় ছেলে ইচাপাশা হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসায় ৮ পারা হাফেজি শেষ করেছে। মেঝো মেয়ে সাদিয়া আক্তার সামিয়ার বয়স ৯ বছর। সেও ওই মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে।

২০১৮ সালে দুই ছেলেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে দুই ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। করোনার পর ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিলো। এখন অর্থনৈতিক সমস্যায় নিয়ে চা বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চলছে।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল