ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
উপমহাদেশের প্রাচীন বিদ্যাপিঠ সরকারি মাদ্রাসা-ই- আলিয়ার নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করেছেন প্রফেসর আবদুর রশীদ।এর পূর্বে তিনি নোয়াখালীর চৌমুহনী এস এ কলেজের ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ৩১ মে তারিখে ৩৭,০০,০০০০,০৯০.১৯.০৭২.১৮.৫২ নম্বর স্মারকের আলোকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ন্যাস্তকৃত বি.সি.এস. (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ হিসেবে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া প্রেষণে পদায়ন করা হলো।
প্রফেসর আবদুর রশীদ এর পূর্বে ঢাকা আলিয়ার উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। গত ২২ মার্চ তাকে নোয়াখালীর চৌমুহনী সরকারি এস.এ কলেজে বদলি করা হয়।বদলির আড়াই মাস পর তিনি পূনরায় ঢাকা আলিয়ায় ফিরে আসেন।
এর পূর্বে ২০২২ সালের ২৯ জুন সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আলমগীর রহমান ইন্তেকাল করেন।এরপর থেকে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রশিদ দীর্ঘ ১০ মাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষা জীবন শেষ করেছেন আবদুর রশীদ। তিনি তার শিক্ষা জীবনে সব স্তরে প্রথম বিভাগ নিয়ে শেষ করেছেন। ছারছিনা দারুসসুন্নাত জামেয়া-এ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সারা দেশে সকল বিভাগে ফার্স্ট স্ট্যান্ড করেন। দাখিল পরীক্ষার ধারাবাহিকতায় আলিম পরীক্ষাতেও ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে মাদ্রাসা বোর্ডে ফার্স্ট স্ট্যান্ড করেন।
দাখিল ও আলিমের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট কলে থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. আর. এম. আলী হায়দার মুর্শিদীর পরামর্শে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স উভয় পরীক্ষাতেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন তিনি।
কর্মজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত পছন্দের কারণে তিনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে (১৬ তম) যোগদান করেন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিলো নরসিংদীর শিবপুরের সরকারি শহীদ আসাদ কলেজ। তবে তার ইচ্ছা ছিল সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকাতে যোগদান করা। তিনি ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীও ছিলেন।
এমআই