আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের গুজরাট রাজ্যের উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ভারত যদিও আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল।
তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল পাকিস্তানের করাচি বন্দরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। শুধুমাত্র গুজরাট রাজ্যেরই এক লাখের বেশি মানুষকে ঝড়ের আগেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে গুজরাটের বহু বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত দুইজন নিহত ও ২২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
করাচিভিত্তিক গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ভারতে আছড়ে পড়ায় অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে পাকিস্তান। প্রাথমিকভাবে ঝড়ের মূল ধাক্কা পাকিস্তানেরই মোকাবিলা করার কথা ছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তানে দুর্বল হয়ে প্রবেশ করবে বিপর্যয়।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের গুজরাটে আছড়ে পড়েছে। পাকিস্তান পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল কিন্তু ভারতের কারণে এর শক্তি দুর্বল হয়ে গেছে।
গুজরাটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয়’ এর প্রভাবে রাজ্যজুড়ে ভারি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসসহ ঝড় বইছে। বিভিন্ন স্থানে ৫২৪টি গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এতে প্রায় ৯৪০টি গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। রাজ্যের ভাবনগর জেলায় নিজেদের ছাগলের পালকে রক্ষা করতে গিয়ে এক পশুপালক ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরব সাগরের মধ্য দিয়ে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এগিয়ে অবশেষে গুজরাটের জখৌ বন্দরের কাছ দিয়ে স্থলে উঠে আসে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। স্থলে উঠে আসার সময় এর বাতাসের একটানা বেগ ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ‘বিপর্যয়’ এর কারণে রাজ্যটি ট্রেন পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। প্রায় ১০০টি ট্রেন যাত্রা বাতিল বা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত আরব সাগরে মাছ ধরার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান ও ভারত। সমুদ্র বন্দরগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়েছে এবং জাহাজগুলো নিরাপদ স্থানে নোঙর করে আছে। গুজরাটের জামনগর বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের চলাচল শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। করাচিতে শুক্রবার বেশিরভাগ দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ ছিল। সিন্ধুর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সময় জার্নাল/এলআর