সাইফ ইব্রাহীম, ইবি প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামী ২৪ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল ক্লাস-পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম। ছুটির আগে এবং পরে ৪ দিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট ১৬ দিনের ছুটি পাবেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার দুই দিন আগে ২২ জুন হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রভোস্ট কাউন্সিল। এ দিন সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ফলে এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা।
একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২২ ও ২৩ জুন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ২৪ জুন থেকে শুরু হবে ঈদুল আযহার ছুটি। চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। ছুটি শেষে ৬ এবং ৭ জুলাই আবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী ৮ জুলাই থেকে অফিস ও ক্লাস সমুহ যথা নিয়মে চালু হবে।
সোমবার (১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ীই ঈদুল আযহার ছুটি কার্যকর হবে। এর কোনো পরিবর্তন হবে না।'
অন্যদিকে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা হল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, '২৪ তারিখ থেকে ছুটি শুরু হলেও এর আগে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার এই দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। যেহেতু এই দিনগুলোতে কারো ক্লাস পরীক্ষা থাকে না, সেজন্য আমরা ২২তারিখ থেকেই হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার আগেই হল বন্ধ করা নিয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাবশত ও অযৌক্তিক বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, দূরদূরান্তের যেসব শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা অধিকাংশই ট্রেনে যাতায়াত করেন। আর ঈদ উপলক্ষে এখন ১০ দিন আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট কাটা যাচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৪ তারিখে হল বন্ধ হবে ভেবে সেই অনুযায়ী অগ্রীম টিকেট কেটে রেখেছিলাম। এখন যদি আগে থেকেই হল বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে সবাইকে বিড়ম্বনা পোহাতে হবে। এছাড়া ২১ তারিখ সবারই ক্লাস রয়েছে। অনেকের আবার পরীক্ষাও রয়েছে। ক্লাস পরীক্ষা শেষ করে যেতে চাইলে রাতের গাড়িতের যেতে হবে। আর মেয়েদের জন্য রাতে ভ্রমণ করাটাও নিরাপদ নয়। সেক্ষেত্রে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে যেতে চাইলেও ওই সময়ে অনেকের গন্তব্যেই ট্রেন-বাস পাওয়া যাবে না। তাহলে ওই শিক্ষার্থীরা তখন যাবে কোথায়। তাই কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আরেকবার ভাবা উচিৎ।
বিপাকে পড়া আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাউফুল্লাহ খান বলেন, 'আমি ২৪ জুন হল বন্ধের কথা ভেবে ওইদিনের জন্য ট্রেনের টিকেট কেটেছি। এখন দেখছি কর্তৃপক্ষ ২২ জুন থেকেই বন্ধ করে দিচ্ছে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত খুবই অযৌক্তিক। এখন কি আমি এই দুইদিন মেস ভাড়া করে থাকবো?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, 'এটি অযোক্তিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তিকর সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিৎ।
এমআই