গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস:
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে থানার পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৪ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে। এসময় পৃথক ভাবে তিন জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিদের সাগর পথে ট্রলার নিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্ট করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
টেকনাফ পুলিশ জানায়,উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের জালিয়াঘাটার পলাতক আসামী রফিকুল বাড়ী থেকে মঙ্গলবার ভোরে ওই ১০ জন নারী,৫ জন পুরুষ ও ৩ জন শিশু রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়। তারা উখিয়ার কুতুপালংসহ বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই সময় পাচারের সহযোগী হিসাবে আটকরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া জালিয়াঘাটা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের স্ত্রী রশিদা বেগম (৩০) ও একই এলাকার মোহাম্মদ মুসার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২০)।
এর আগে গত সোমবার বিকালে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ায় এই অভিযান চালিয়ে ৬ জন উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে দুই জন শিশু ও চার জন নারী। তারা উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। এই সময়
দালাল সন্দেহে আটক নুরুল আমিন (৩০) টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডেইল এলাকার আলী চাঁদের ছেলে।
টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাগরপথে মালয়েশিয়াপাচারের উদ্দ্যেশে বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গাদের জড়ো করা হয়েছে খবরে পুলিশের পৃথক দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। সমুদ্র সৈকত ও নাফনদী সংলগ্ন ২টি বাড়ি থেকে পৃথক ভাবে ২৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। “এই সময় পৃথক ভাবে তিন দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়।”
বিষয়টি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মতো উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের হস্তান্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/ইএইচ