রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনর উত্থান যেভাবে

শনিবার, জুন ২৪, ২০২৩
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনর উত্থান যেভাবে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধে ছিল লিপ্ত ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগঠন ওয়াগনার গ্রুপ। এ সংগঠনের নেতা ৬২ বছর বয়সী ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধের কৌশল নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নেতৃ্ত্বের সমালোচনা করে আসছেন।

শুক্রবার তিনি তার দলের সৈন্যদের ওপর এক মারাত্মক মিসাইল হামলার অভিযোগ করেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রিগোশিন এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাননি, তবে যারা এই হামলা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়ার শপথ নেন তিনি।

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মিসাইল হামলার কথা অস্বীকার করে এবং প্রিগোশিনকে সবরকম ‘অবৈধ কার্যক্রম’ বন্ধের আহবান জানায়।

তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ এনেছে ক্রেমলিন। তবে কোনো সামরিক অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করেছেন ওয়াগনার দলনেতা।

পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোজিন, যিনি শুক্রবার এক অডিওবার্তার মাধ্যমে এই বিদ্রোহের ডাক দিয়েছেন—প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে এক সময় গোটা রাশিয়ায় তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘পুতিনের বাবুর্চি’ নামে।


মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর তথ্য অনুসারে, পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ১৯৬১ সালে জন্ম নেন। ঘটনাচক্রে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রিগোজিনের জন্ম একই শহরে— রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে।

ইয়েভগেনি প্রিগোজিন একাধিকবার কারাবাসের সাজা খাটা আসামি। ১৯৭৯ সালে, ১৮ বছর বয়সে চুরির অভিযোগে আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। সেই সাজা খেটে বের হওয়ার দু’বছর পর আবারও চুরি-ডাকাতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে এবং আদালতে সেসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৩ বছর কারাবাসের সাজা হয় তার।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে হটডগ ও অন্যান্য ফাস্টফুড বিক্রির দোকান খোলেন প্রিগোজিন, একই সময়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও পরিচয় হয় তার। ওই সময় সদ্য ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি থেকে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে বদলি হয়ে এসেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের সঙ্গে পরিচয়ে সূত্র ধরে তৎকালীন ক্রেমলিনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তত দিনে রাশিয়ার একজন উঠতি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছেন তিনি।

পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সূত্রে ক্রেমলিন ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে তিনি পরিচিতি পান ‘পুতিনের বাবুর্চি’ নামে। পরে এই নাম তার পরিচিত মহলেও ছড়িয়ে পড়ে। ক্রেমলিনের সঙ্গে দহরম মহরম সম্পর্ক থাকায় গোটা নব্বইয়ের দশক এবং তার পরের দশক বিভিন্ন লোভনীয় সরকারি ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন প্রিগোজিন। এসব ঠিকাদারি কাজ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও উপার্জন করেন তিনি।

সম্ভবত এই অর্থ দিয়েই বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার গড়ে তুলেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন, তারপর নিজেই হয়েছেন এই কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী ও কমান্ডার।

পিএমসি ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের অধিকাংশই জীবনের কোনো না কোনো সময় কারাগারে সাজা খেটে আসা আসামি। মূলত অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের সরকারি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধ করে ওয়াগনার গ্রুপ। সিরিয়া, মালি, সেন্ট্রাল আফ্রিকাসহ অনেক দেশেই যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের। তবে এই বাহিনীর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগও উঠেছে একাধিকবার।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল