নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোরবানির ঈদ ঘিরে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো, চলছে শেষ সময়ের কেনাবেচা। কিন্তু সকাল থেকে বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে হাটগুলোতে। বৃষ্টির কারণে পশুর হাটের কোথাও কোথাও জমেছে পানি, কোথাও কোথাও কাদা জমে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
বুধবার (২৮ জুন) রাজধানীর কমলাপুর, শাহজাহানপুরসহ অন্যান্য হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, বৃষ্টিতে অস্থায়ী হাটগুলোতে কোথাও কোথাও হাঁটু সমান পানি ও কাদা জমে আছে। তার মধ্যে রাখা হয়েছে কোরবানির গরু। অনেক জায়গায় হাঁটা-চলারও অবস্থা নেই। বৃষ্টি আর কাদায় নাকাল অবস্থা হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে ২০টি গরু নিয়ে কমলাপুর হাঁটে আসা ইকবাল বলেন, গরু আনার পর থেকেই বৃষ্টি। পানি জমে আছে, এখানে হাঁটু সমান কাদা। ক্রেতাই আসতে পারছে না। এখন ৮টা গরু আছে। ক্রেতা এলেও দাম কম বলছে।
কাদায় দাঁড়িয়ে থেকে গরু অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব গরু পাকা দালানে লালন-পালন করি। কাদা তো দূরের কথা গরুর গোবরও জমতে দেই না। এখানে দাঁড়িয়ে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমেছে, সঙ্গে পশুর মলমূত্র মিশে হাটে থাকা কষ্টকর হয়ে
পড়েছে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
সিরাজগঞ্জের গরু ব্যাপারি কালাম মিয়া বলেন, গত রোববার ১৬টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। ৯টা গরু বিক্রি করেছি। এখনো ৭টা আছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম। দুই লাখ টাকার গরু এখন এক লাখ ৬০ হাজার ৭০ হাজার বলছে।
হাট ইজারাদারদের কর্মীরা বলেন, বৃষ্টির কারণে কাদা জমেছে। কাদা কমানোর জন্য বালু দেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী হাট এখানে পরিকল্পনা করে কিছু করা যায় না। তারপরও যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।
এমআই