আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত হওয়ার জেরে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৪২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২৪২ জন প্যারিসের। বাকিদের দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর- বিবিসি
বৃহস্পতিবার ছিল বিক্ষোভের তৃতীয় দিন। এদিন বিকেলে কিশোরের মায়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তৃতীয় রাতে লিলি ও মার্সেইতে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় ৪০ হাজার পুলিশ।
হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ফরাসি পুলিশ সদস্য
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশ কিছু জায়গায় আবর্জনার স্তূপে আগুন জ্বলছে। কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল নান্টেরে শহরে একটি ভবনের নিচতলায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
কিশোর নিহতের প্রতিবাদে ফ্রান্সে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি- বিবিসি থেকে নেওয়া
এদিকে, কিশোর নিহতের ওই ঘটনায় এক ফরাসি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার প্যারিসের তল্লাশিচৌকিতে নাহেল নামের ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পুলিশের দাবি, কিশোর নির্দেশনা না মেনে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের দুজন কর্মকর্তা গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করছেন। তাদের একজন গাড়ির জানালা দিয়ে চালকের দিকে অস্ত্র তাক করেন। চালক গাড়ি চালানো শুরু করলে খুব কাছ থেকে গুলি করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। কয়েক মিটার দূরে গিয়ে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এরপর এ ঘটনায় কার্যত বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স। বিভিন্ন শহরের টাউন হল, বিদ্যালয় ও পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীদের চালানো হামলাকে ‘ভয়াবহ সহিংসতা’ বলে অভিহিত করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডাকেন।
এমআই