নিজস্ব প্রতিনিধি:
দেশের ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, টাঙ্গাইল, পাবনা, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে গত ১২ মার্চ ৮ জেলায় ডিসি পদে রদবদল এনেছিল সরকার।
গাজীপুরের ডিসি আনিসুর রহমানকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানকে রাঙ্গামাটি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের একান্ত সচিব (উপসচিব) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনকে বান্দরবান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. কায়ছারুল ইসলামকে টাঙ্গাইল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামানকে পাবনার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) আরিফুজ্জামানকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব সুরাইয়া জাহানকে লক্ষ্মীপুর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানকে কুমিল্লা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে ফেনী ও বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার ডিসি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ফেনীর ডিসি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব, লক্ষ্মীপুরের ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব, রাঙ্গামাটির ডিসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, বান্দরবানের ডিসি ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিকে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব ও পাবনার ডিসি বিশ্বাস রাসেল হোসেনকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। জেলাপর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ডিসি জেলার সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলো দেখে থাকেন। এছাড়া নির্বাচিত সরকারের বিশেষ কর্মসূচি ও চলমান সব উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসক তদারকি করে থাকেন।
নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী- আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকায় যেকোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিলের ক্ষমতাও তাদের থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা ডিসির অধীনে। নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকায়ও থাকেন ডিসিরা।
সময় জার্নাল/এলআর