নিজস্ব প্রতিনিধি:
আজ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের দুই সপ্তাহব্যাপী ঢাকা মিশন শুরু। মিশনের মূল কাজ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পরিবেশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল শনিবার ঢাকায় এসেছেন। তারা নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবেন। ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধানের দফতর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আগামী নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক টিম পাঠালে তার কর্মপরিধি কি হবে, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় নির্বাচন কমিশন কতোটা ফ্যাসিলিটেড করবে তার আগাম মূল্যায়ন করা।
এ দলটি বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ২৭ দেশের জোট ইইউ পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবে এ প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটির প্রতিবেদন আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ পর্যবেক্ষক দল ব্রাসেলসে গিয়ে যা প্রতিবেদন দেবে, তার ওপর নির্ভর করে ইইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা দপ্তরের হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেল সিদ্ধান্ত নেবেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে বিতর্কিত হওয়ায় সরকারের ওপর আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে চাপ রয়েছে। এখন এ পর্যবেক্ষক দল যদি গিয়ে বলে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, তাহলে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না সংস্থাটি। এতে বিতর্ক আরও তুঙ্গে উঠবে এবং ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যুক্তি গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এটি ভবিষ্যতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির চাপ রয়েছে সরকারের ওপর।
ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি গণমাধ্যমে বলেছেন, প্রাক-নির্বাচনী পর্যেবক্ষক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখবে। সেই সঙ্গে ইইউর পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে পারবেন কিনা, সেটি খতিয়ে দেখবে। এ জন্য অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণ এবং সরকারের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেতে হবে যে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আসতে পারবেন।
সময় জার্নাল/এলআর