মানবতাবাদী কথা সাহিত্যিক কবি এসএম শাওয়ান মনির ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর ভাওয়ারভিটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন নিয়মিত লেখক। প্রতি বছরই অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার দু’একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়ে আসছে। এ যাবৎ তার লেখা ৩২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একজন গীতিকার ও সুকন্ঠের অধিকারিও বটে। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চ্যানেলে নিজের লেখা গান গেয়েছেন। কুসংস্কার আচ্ছাদিত সমাজে বসবাস করেও মনুষ্যত্ববোধ ও মরমিবাদ লেখনিতে মজে আছেন নিরলসভাবে।
আগামি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে ‘যে আদর্শে জীবন পথেয়’ শিরোনামে আরেকটি গ্রন্থ। ধর্ম-বর্ণ র্নিবিশেষে সকল শ্রেণীর পাঠকদের কাছে গ্রন্থটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, পৃথিবী বেঁচে আছে মানবজাতির জন্য। এই মানব সভ্যতাকে সত্যিকার অর্থেও মনুষ্যত্ববোধ জাগিয়ে রাখতে হলে অবশ্য মানবের নৈতিক আদর্শ উন্নত করতে হবে, লিখনীর মাধ্যমে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা পূত-পবিত্র রাখতে হবে। সাহিত্য জীবন, জীবনই সাহিত্য। সাহিত্য মানব মনে যতোটুকু প্রভাব বিস্তার করে তা অন্য কোন পথে সম্ভব নয়।
কবি এসএম শাওয়ান মনির মনে করেন, প্রকৃত আদর্শনীতির সাহিত্যের মাধ্যমে মানবসভ্যতায় সত্যানুরাগীর আলো ছড়াতে হবে। নতুবা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মহা ঋণে ঋণী হয়ে থাকতে হবে। এই পৃথিবীতে মানবের পোকামাকড়ের মত আসা-যাওয়া হলে চলবে না। মানব জাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠেত্বের অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা প্রমাণ করতে হবে তার নৈতিক পবিত্র আদর্শের মাধ্যমে।
কখনো নাম কিংবা যশ-খ্যাতির জন্য সাহিত্যের কলম ধরেননি কবি এসএম শাওয়ান মনির। তিনি মনে করেন, লেখনী তার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই নীরবে লিখে চলছেন। জীবনের কত শত প্রতিবন্ধকতা এসেছে, তিনি মোটেও তোয়াক্কা করেননি। তিনি মনে করেন, একজন লেখকের কর্তব্য লেখার সাধনায় নিমগ্ন থাকা; এর বেশি কিছু করা উচিত নয়।