সময় জার্নাল ডেস্ক:
নিজের প্রতিষ্ঠানে ৯০ শতাংশ কর্মীকে বাদ দিয়ে তার স্থলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসস্পন্ন (এআই) চ্যাটবট চালুর কথা জানানোর পর ভারতের একজন সিইও সমালোচনার শিকার হয়েছেন। খবর বিবিসি'র।
দুকান নামক একটি ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা সুমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, চ্যাটবটটি গ্রাহকদের প্রশ্নের প্রাথমিক উত্তর এবং সমাধানের সময়ে ব্যাপক অগ্রগতি এনেছে।
তার এই টুইট অনলাইনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
একাধিক টুইটে সুমিত শাহ চ্যাটবট ব্যবহার করার বিষয়ে তার ফার্মের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে লেখেন। তিনি লেখেন, কর্মীদের (সাপোর্ট স্টাফ) ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত 'কঠিন' হলেও সেটা 'প্রয়োজনীয়' ছিল।
সুমিত আরও লেখেন, গ্রাহক সহায়তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার ফার্ম অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল এবং তিনি বিষয়টির সমাধান করতে চাইছিলেন।
টুইটে তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা এআই বটটি দ্রুতগতিতে এবং নির্ভুলভাবে গ্রাহকদের সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে।
'তাৎক্ষণিক পরিতৃপ্তির এ যুগে একটি ব্যবসা শুরু করা এখন আর দূরের কোনো স্বপ্ন নয়,' তিনি লেখেন। 'সঠিক ধারণা ও দল থাকলে যে কেউ তাদের উদ্যোক্তা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে।'
সুমিত শাহ আরও জানান, তার ফার্মে একাধিক পদের জন্য লোক নিয়োগ করা হচ্ছে।
তবে অনেক ব্যবহারকারী তার টুইটের সমালোচনা করে এই 'হৃদয়হীন' সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে তার কর্মীদের জীবনকে বিশৃঙ্খল করার অভিযোগ এনেছেন।
'যেমনটা হওয়ার কথা, ছাঁটাই করা ৯০ শতাংশ কর্মী সম্পর্কে কোনো কিছুর উল্লেখ পেলাম না। তাদের কী সহায়তা দেওয়া হয়েছিল?' একজন টুইটার ব্যবহারকারী সুমিতের টুইটে প্রশ্ন করেন।
'হয়তো এটি ব্যবসার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু এ নিয়ে এভাবে বাগাড়ম্বর করার কিছু নেই,' লেখেন আরেকজন।
একটি টুইটের জবাব সুমিত লেখেন, 'যেমনটা প্রত্যাশিত, অন্যের পক্ষ হয়ে কারও না কারও আঁতে ঘা লাগবে।' তবে তিনি জানান, টুইটারে নয় বরং ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের সহায়তার বিষয়ে তিনি লিংকডইন-এ পোস্ট করবেন — কারণ টুইটারে মানুষজন কেবল 'লাভ খোঁজে, সহানুভূতি নয়'।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে খরচ কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে চ্যাটজিপিটির মতো এআই টুল ব্যবহারের কথা জানা যাচ্ছে। এর ফলে প্রযুক্তির কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই।
গত মার্চে গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ৩০০ মিলিয়ন পূর্ণকালীন চাকরির সমপরিমাণ প্রতিস্থাপন করতে পারে।
এমআই