এহসান রানা , ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে নদীর ভাঙ্গন। বিগত ১৫ দিনে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় একশো একর জমি নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকে পরের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পদ্মানদী বেষ্টিত চরাঞ্চল নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী, শুকুর আলী মৃধার ডাঙ্গী, ঈমান আলী মাতুব্বরের ডাঙ্গী ও উসমান মাতুব্বরের ডাঙ্গীতে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ভিটমাটি থেকে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ সহ প্রায় তিনশো একর ফসলি জমি। এসব জমিতে ধান ও পাট সহ নানা ফসল রয়েছে।
নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেন জানান, গত তিন বছর যাবত এখানে নদী ভাঙ্গন চলছে।জমিতে ডিপ টিউবয়েল গেড়ে ইরি ব্লকের জমি ছিলো, সবই নদীতে তলিয়ে গেছে।
পদ্মা নদীর নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের এসব স্থানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, বছরের পর বছর চলতে থাকা পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে তাদের জমি জমা ও ঘর বাড়ি রক্ষায় স্থায়ী বাধ নির্মাণের। পানি উন্নয়ন বোর্ড ত্বরিত পদক্ষেপ হিসেবে কিছু কাজ শুরু করলেও তা যথেষ্ট ফলপ্রুস হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনগনেরা।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, পার্থ প্রতিম সাহা জানান, বর্ষার পানি ঘুর্ণনের ফলে এখানে বেশকিছু স্থানে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এর বাইরেও কয়েকটি জায়গায় ভাঙ্গনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করছি, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ এলে এসবস্থান ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবো।
সময় জার্নাল/এলআর