মোঃ মিরাজুল ইসলাম. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক আড়াই ঘন্টা অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে দুুই দফা দাবিতে নগরীর গল্লামারী মোড়ে সড়ক অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে প্রশাসনের আশ্বাসে বিকাল সাড়ে তিনটায় অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাফায়েত সাগর নামের এক শিক্ষার্থীকে ট্রাক চালক কর্তৃক মারধরের অভিযোগ ওঠে। মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর দিকে ট্রাকচালক তার ট্রাক বেশি চাপিয়ে দেওয়ায় কথা বলতে গেলে উভয়পক্ষের মধে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ওই ট্রাকচালক ও তার সহযোগী মিলে শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলে। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর নাকে মুখে মারাত্মক ভাবে যখমের অভিযোগ ওঠে।
আরও জানা যায়, মারধরের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের সাথে অসাদচরণ করেন ও মামলার হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নগরীর গল্লামারি মোড়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধরত শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও মারধরকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
অবরোধরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের দুই দফা দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তাদের দুই দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, অভিযুক্ত দুইজন কে গ্রেপ্তার দেখানো এবং শিক্ষার্থীদের সাথে অসাদচরণ করা দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে খুলনা (দক্ষিণ বিভাগ) পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের আশ্বাসে বিকেল সাড়ে তিনটায় অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, "এ ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এছাড়া শিক্ষার্থীদের সাথে অসাদচরণ করা দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। "
এমআই