নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে রংপুর থেকে ঢাকায় এসেছিলেন মো. মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু (৩১)। তবে পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছানো হয়নি তাঁর। দুটি বাসের বেপরোয়া ‘প্রতিযোগিতা’র বলি হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী এই যুবক। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কল্যাণপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলটির চালকও আহত হন।
মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, কল্যাণপুরের দুর্ঘটনায় দায়ী বৈশাখী পরিবহন ও পরিস্থান পরিবহনের বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই বৈশাখীর চালক তৌহিদুর রহমান তুষারকে আটক করা হলেও অপরটির চালক মোন্নাফ হোসেন পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের চাচাতো ভাই এনামুল হক।
এনামুল হক জানান, পরিবারের সঙ্গে রংপুরের গাবতলীর বড়বাড়ি এলাকায় থাকতেন মনিরুজ্জামান। এলজিইডির ওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্ট পদে চাকরির পরীক্ষা দিতে তিনি গতকাল সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় আসেন। তিনি গাবতলীতে বাস থেকে নেমে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে সবুজবাগ রওনা হন। পথে কল্যাণপুর ফুটওভারব্রিজ এলাকায় পরিস্থান পরিবহনের বাসটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এর আগে দুটি বাস বেপরোয়া গতিতে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে আসছিল। এর একপর্যায়ে প্রথমে পরিস্থানের বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বৈশাখী পরিবহন। তখন বৈশাখীর বাসটি সামনে থাকা মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চলে যায়। কোমরে মারাত্মক আঘাত পান মনিরুজ্জামান। পরে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাঁকেসহ মোটরসাইকেলের চালককে উদ্ধার করে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নিয়ে যায়। সেখানে মনিরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। চালকের আঘাত গুরুতর নয়। ঘটনাস্থল থেকে এক বাসচালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
স্বজনরা জানান, রংপুরে আরএফএলে চাকরি করতেন মনিরুজ্জামান। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তাঁর বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা মমতাজ বেগম।
এমআই