জেলা প্রতিনিধি: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে শেষ মুহূর্তে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। এ নৌরুটে সব ফেরি চলাচল করায় যাত্রীদের স্বস্তি ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঘাট এলাকা এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এদিকে পরিবহন পারাপারের ঘোষণায় বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা।
জানা গেছে, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার ঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আর যাত্রী আর যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ২০ টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটে নোঙর করার পর মানুষের ঢলে ঠাঁই নেই ফেরিতে। নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই। ঘাটে নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কড়াকড়ি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ছোট-বড় ১৬ ফেরি চলাচল করছে। কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঘাটে এসে গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছেন মানুষ। প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রী-যানবাহনকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উঠানো হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে পন্টুনে জটলা ও ভোগান্তি কমে এসেছে।
ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মানুষের দুর্ভোগ দূর-করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি দেখার দায়িত্ব আমাদের নেই।
তবে বিগত কয়েকদিনের মতো আজও শিমুলিয়া ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে ঘাটের প্রবেশ মুখে কয়েকটি গাড়ি রেখে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা ঘাটে মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার ছাড়া কোনো যানবাহন ঢুকতে দিচ্ছে না।ফলে যাত্রীদের নিজেদের মালামাল নিয়ে এক কিলোমিটার হেঁটেই ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। ঘাটে বর্তমানে ৩০০-৪০০ পণ্যবাহী গাড়ি ও কিছু প্রাইভেটকার রয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হিলাল আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, জানান, ঘাট এলাকায় বর্তমানে বর্তমানে ৩০০-৪০০ পণ্যবাহী গাড়ি কিছু প্রাইভেটকার পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রী চলাচল ও ঘাট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
/এমআই