সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
মাদকাসক্ত অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত তার অন্য দুই সহযোগী আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আতিক আরমান ও সালমান আজিজকেও সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাংচুরের ঘটনায় কাব্য ও তার সহযোগীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠন করবেন।'
জানা যায়, গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে মাদকাসক্ত অবস্থায় এম্বুলেন্সে করে মেডিকেলে আসেন কাব্য। এসময় দেয়ালে লাথি দেয়া সহ বিভিন্ন অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন তিনি। বুকে ব্যাথার কথা বলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে চাইলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুর রহমান মিল্টন তাকে ইনজেকশন দেন৷ ইনজেকশন দেওয়ার পর তিনি সেখানেই বসে থাকেন এবং তাকে এম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়া পাঠানোর জন্য ডাক্তারের সাথে জোরজুরি করতে থাকেন। কিন্তু প্রক্টরিয়াল বডি অনুমতি না দেওয়ায় এম্বুলেন্স দিতে না চাইলে ডাক্তারের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন তিনি। এছাড়া এম্বুলেন্স ড্রাইভারের শার্টের কলার ধরে মারধরও করেন। এরপরও এম্বুলেন্স না দিলে তার দুই সহযোগীসহ মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভাংচুর শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাক্তার তাকে কুষ্টিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছিনতাই, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া ও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ায় ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছিলেন রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য৷ সংশ্লিষ্ট ঘটনায় তার নামে একটি মামলাও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুস সালাম সেলিমের সাথে খারাপ আচরণ ও গলায় ছুরি ধরার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া তিনি ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহের সাথেও জড়িত বলে জানা গেছে।
এমআই