নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) শুরু হচ্ছে মহররম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৫ হিজরি। আগামী ২৯ জুলাই শনিবার (১০ মহররম) দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৫ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
বুধবার (১৯ জুলাই) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। বৃহস্পতিবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৯ জুলাই (১০ মহররম) শনিবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকেন।
কারবালা প্রান্তরে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এর শাহাদাতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত আমাদের দেশে আশুরা পরিচিত। তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা আরও কিছু তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আশুরার রোজা (আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন) রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে হাদিসে।
আশুরার দিনে ফেরাউনের হাত থেকে নবী মূসা (আ.) ও তার অনুসারীদের মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোনো ঘটনা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আশুরার দিনে হযরত আদমের (আ.) তাওবা কবুল, মহাপ্লাবনের পর নূহ (আ.) এর নৌকা জুদী পর্বতের ওপর থামা ও ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করার কথা অনির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো কোনো সাহাবী-তাবিই থেকে বর্ণিত।
সময় জার্নাল/এলআর