নিজস্ব প্রতিবেদক:
"প্রতিভার খোঁজে পেন্সিল"প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন আলমগীর ইসলাম শান্ত।
১৯ জুলাই হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিতব্য গালা রাউন্ডে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন শান্ত। আলমগীর ইসলাম শান্ত অভিনীত "দ্যা চেঞ্জ" স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্রটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা নাজমুল ইসলাম।
সুন্দরবনের কোল ঘেষে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় শান্তর জন্ম ২৪ মার্চ, ১৯৯৪ সালে। তাঁর দুই ভাই, তিন বোন। শৈশবের পাঠ চুকিয়ে ঢাকায় আসেন। বর্তমানে সরকারি তিতুমীর কলেজে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্সে পড়ছেন। স্কুল জীবন থেকেই মূলত সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা জন্মে। শান্ত মূলত আবৃত্তি নিয়ে কাজ করে তবে অভিনয় ও গানেও সমান্তরাল পথচলা। থিয়েটার প্রাঙ্গণে মঞ্চে নাটক নিয়ে কাজ করেন একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে আজিমপুরের রায়হান কলেজে অধ্যায়ণকালে প্রিন্সিপাল রহিমা আফরোজ মিলি এর অনুপ্রেরণায় আবৃত্তি এলবাম করার সাহস জন্মে। প্রথম পরিবেশনা ২০১৫ সালে, "ফেরীওয়ালা" একক আবৃত্তি এ্যালবাম। তারপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত সতেরোটি একক আবৃত্তি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করছেন আবৃত্তির গুরু শিমূল মুস্তাফার তত্বাবধানে বৈকুন্ঠ আবৃত্তি একাডেমীতে। সরকারি তিতুমীর কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠন ''শুদ্ধ্বস্বর কবিতা মঞ্চ'' এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পরিচালনা করছেন বিহঙ্গের সুর যেটি আবৃত্তি প্রযোজনা করছেন গত ৮ বছর ধরে।
ইতোমধ্যে আবৃত্তির জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। নজরুল সম্মাননা ২০১৬, বিদ্যাপীঠ সম্মাননা ২০১৭, আমাদের গল্পকথা সম্মাননা স্মারক ২০১৭। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ এ থানা পর্যায়ে সেরা আবৃত্তি শিল্পীর সম্মাননা অর্জন করেন।
এবার "প্রতিভার খোঁজে পেন্সিল ২০২৩" পুরস্কার লাভ করেন। আলমগীর ইসলাম শান্ত কবিতাকে আকড়ে জীবনকে উদযাপন করতে চান। কবিতাই তার একাকীত্বের সঙ্গী।
১৯ জুলাই হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিতব্য গালা রাউন্ডে তার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র "দ্যা চেঞ্জ" প্রদর্শন করা হয়।
দ্য তেইলি স্টারের এর সহযোগিতায় এই রিয়েলিটি শো'র স্ট্রাটেজিক পার্টনার ছিলেন দ্য মারভেল বি ইউ। এই রিয়েলিটি শো-তে গিফট পার্টনার হিসাবে ছিলেন- পেন্সিল পাবলিকেশন্স, জাগৃতি প্রকাশনী, আজব প্রকাশ, আজব রেকর্ডস, ট্যান, ইউম্যান, মাস্টারশেফ বারবিকিউ, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি, বি-বাসিনী এবং গ্লোরিয়া জিন্স কফিস এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট।
এমআই