নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলায় ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত দলবদ্ধ হয়ে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা ভিয়েনা কনভেনশন নীতিমালার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতরা রাজনৈতিক দলের মত আচরণ করছেন। তাদের বলবো ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার। একইসঙ্গে ফখরুলের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে তারা সহিংসতার রাজনীতি করতে চান, যা তারা শুরুও করেছেন। তবে সরকার তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে।
গত সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোট কেন্দ্রের সামনে হামলার শিকার হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
এ ঘটনায় গতকাল যৌথ বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম-যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত-তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
রাষ্ট্রদূতদের যৌথ বিবৃতির বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক দলের মতো রাষ্ট্রদূতদের জোটবদ্ধ হয়ে বিবৃতি দেওয়া, এটি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি যে ভিয়েনার কনভেনশন আছে সেটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি বন্ধু রাষ্ট্রদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার অনুরোধ জানাব।
প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে কিংবা পাকিস্তানে যখন সহিংসতা হয় বা আশপাশের দেশে যখন সহিংসতা হয় সেখানে তো রাষ্ট্রদূতরা এভাবে বিবৃতি দেয় না। আমাদের দেশে কেন এভাবে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। এগুলো আসলে আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের কেউ কেউ তাদের প্ররোচণা দেয়। তাই রাষ্ট্রদূতদের দোষারোপ করার আগে, আমি মনে করি যারা তাদের প্ররোচণা করেন তারা দায়ী। তবে অবশ্যই কূটনীতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতদের আচরণ ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা প্রয়োজন৷
এমআই