এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি দাখিল মাদরাসা ও দুটি মসজিদের উন্নয়নের জন্য বাগেরহাট জেলা পরিষদ থেকে ৩ টি প্রকল্পের ৬ লাখ টাকার কোন কাজ না করিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার (১৯ জুলাই) বি এস এস দাখিল মাদরাসার সুপার মো. অহিদুল ইসলাম, মাদরাসার এবতেদায়ী প্রধান ও জোমাদ্দারপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম তোফাজ্জেল হোসেনের বেতন স্থগিত ও ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বারইখালী ইউনিয়নে মধ্য জোমাদ্দারপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দান উন্নয়ন, বারইখালী-সুতালড়ী জামে মসজিদ উন্নয়ন ও বিএসএস দাখিল মাদরাসার উন্নয়নের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ থেকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করান মাদরাসা সুপার মো. অহিদুল ইসলাম।
বরাদ্দের টাকা তুলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করিয়ে শতভাগ টাকা আত্মসাৎ করেন সুপার অহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। ঘটনা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর মো. নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য বি এস এস দাখিল মাদরাসার সুপার মো. অহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি আজ মাদরাসার কাজে বাইরে আছেন বলে সহকারি সুপার মো. মাইনুদ্দিন হিরু জানান।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বি এস এস দাখিল মাদরাসার সভাপতি এসএম তারেক সুলতান বলেন, ৩টি প্রকল্পের নামে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই, মাদরাসা সুপার অহিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের বেতন স্থগিত করা হয়েছে।
একই সাথে পুরা বিষয়টি উদঘাটনের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামি ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমআই