নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের কোনো হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগী ফিরিয়ে দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এফডিসিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা নিয়ে ছায়া সংসদ বিষয়ক ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জায়গা না থাকার অজুহাতে ডিএনসিসি এবং সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, আপনারা আমাকে তথ্য-উপাত্ত দেন, কবে কোন জায়গা থেকে কোন রোগীকে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমরা এক ঘণ্টা ব্যয় করি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। এটা তথ্য-প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার কারণে সম্ভব হয়েছে।
‘ঢাকা শহরে বসে আমি যদি চাই তাহলে টেকনাফ এবং তেতুলিয়ায় কথা বলতে পারি। আমরা প্রতিদিন ফলোআপ করি। আপনারা যে হাসপাতালের কথা বললেন, এখান থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমাকে অনুগ্রহ করে জানান। কবে কোন রোগী, কীভাবে ফেরত গেছে, আমি সেটার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।-বলেন স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক।
দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন মশাবাহিত এই রোগে। মৃত্যুর সংখ্যাটাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
ডেঙ্গু রোগীতে ভরে যাচ্ছে দেশের হাসপাতালগুলো। মশাবাহিত রোগে হাসপাতাল ভরে গেলেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো মহামারি পর্যায়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
এক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, মহামারির একটা ব্যাখ্যা আছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান ডেঙ্গুর অবস্থা যায় না বলে আমি জানি। তবে এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। আমি এই প্রশ্নটা তাদের কাছেই রাখব।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন আছে কি না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, জরুরি অবস্থা জারির আগে যারা পলিসি তৈরি করেন, তাদের সিদ্ধান্ত এলেই এ ব্যাপারে ভালো হয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদে প্রস্তাবের পক্ষে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং বিপক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা অংশ নেন।
এমআই