বুধবার, ০১ মে ২০২৪

শুধু ডেঙ্গু নয়, মশাবাহিত আরো ৭ রোগ থেকে সাবধান

রোববার, জুলাই ২৩, ২০২৩
শুধু ডেঙ্গু নয়, মশাবাহিত আরো ৭ রোগ থেকে সাবধান

সময় জার্নাল ডেস্ক:

দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু থেকে বয়স্ক, সবাই এখন ডেঙ্গু আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু নয় হতে পারে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াসহ নানা ভয়াবহ রোগ। বর্ষাকাল হলো মশার প্রজননের জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। তাই এ সময় মশার উপদ্রবও বাড়ে।

তাই এ সময় মশাবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকতে সবাইকে সচেতন ও সাবধান হতে হবে। 
ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত ভয়াবহ ৭টি রোগ

ইয়েলো ফিভার
টাইগার মশা ও এডিস প্রজাতির আরও কিছু মশার মাধ্যমে ইয়েলো ফিভার ছড়ায়। সাধারণভাবে একে ফ্লাভিবাইরাসও বলা হয়। আফ্রিকার ৩৪টি, দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকার ১৩টি দেশে ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

এ রোগের লক্ষণ হিসেবে শুরুতে জ্বর এলেও পরে তা বমি দেখা দেয়। একসময় মেনিনজাইটিসে রূপ নেয়। যা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

চিকুনগুনিয়া
কয়েক বছর আগেও চিকুনগুনিয়া দেশে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ রোগের প্রভাবে জ্বর কাটিয়ে উঠতে তিন-চার দিন লাগে। তবে এরপর হাড়ের জোড়ায় ভয়াবহ ব্যথা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে চামড়ায় ক্ষত দেখা দিতে পারে। তবে আশার কথা, একবার চিকুনগুনিয়া হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।

ম্যালেরিয়া
মশাবাহিত রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়া সবচেয়ে বেশি পরিচিত। খুবই মারাত্মক রোগটি। অ্যানোফিলিস নামের মশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

এই রোগে আক্রান্ত হলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। ম্যালেরিয়ার কার্যকর ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে এতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কমানো যেতে পারে।

জিকা
এডিস ইজিপ্টাই, টাইগার মস্কিউটো ও এডিস আলবোপিকটাস জিকা ভাইরাস ছড়ায়। ২০১৫ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। জিকার আক্রমণে ব্রাজিলে অসংখ্য শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মাইক্রোসিফেলি নামের ভয়াবহ প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জন্মায় তারা। এর ফলে শিশুদের মাথার আকৃতি বিকৃত হয়ে যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা জিকায় আক্রান্ত হলে শিশুদের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।

ওয়েস্ট নাইল ফিভার
বয়স্ক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের শরীরে এই রোগ ভয়াবহ ক্ষতি করে। এর ফলে মেনিনজাইটিস ও মায়োকার্ডিটিস হতে পারে।

অন্যান্য মশাবাহী রোগের মতো কাঁপুনি, ঠান্ডা লাগা, জ্বর, মাথা ব্যাথা, ঝিমুনি ও ব়্যাশ দেখা দিতে পারে। এর কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি।

লাইশম্যানিয়াসিস
গর্ভবতী নারী মশাদের কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। ৩০ ধরনের ভিন্ন প্রজাতির লাইশম্যানিয়াসিস জীবাণু আছে। এর মধ্যে ১০টি মানবদেহে রোগ ছড়ায়। এ রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর ও মাথাব্যথা দেখা দেয়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্কিন আলসার হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। রোগটি এতোই ভয়াবহ যে দ্রুত ডাক্তার না দেখালে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসার অভাবে মশাবাহিত এ রোগ মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

সিন্ডবিস
কুলেক্স নামের নিশাচর মশা এই রোগের ভাইরাস বহন করে। মূলত আফ্রিকায় পাওয়া গেলেও সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মানবশরীরে এই জীবাণুর অস্তিত্ব পেয়েছেন। এই মশার কামড়ে তীব্র জ্বর ও মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দেয়।

পুরো শরীরে এই রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হাড়ের সংযোগেও প্রদাহের সৃষ্টি হয়। কয়েক সপ্তাহ পর যদিও এ রোগ সেরে যায়। এখনও এ রোগের কোনো ওষুধ নেই।

মশাবাহিত এসব রোগে থেকে সাবধান থাকার উপায় হলো মশা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত থাকা। এজন্য সবার উচিত মশা যেন না কামড়ায় তা নিশ্চিত করা ও ঘরে-বাইরে থাকাকালীন যথেষ্ট নিরাপত্তা বজায় রাখা।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল