নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। একদিনে আরও ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৩ জনে। ২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সেই বছরে দেশে সর্বোচ্চ মারা যায় ২৮১ জন। এটাই ছিল সর্বোচ্চ প্রাণহানি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত ২৮৩ জনের মধ্যে নারী ১৫৭ জন এবং পুরুষ ১২৬ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৫৭ জন এবং রাজধানীতে ২২৬ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক হাজার ১০১ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ৪৮৮ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই ঢাকার বাসিন্দা। আর একজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৭১৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩২ হাজার ৫৬২ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২৭ হাজার ১৫৪ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫০ হাজার ২২৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৭ হাজার ৬৮৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ২২ হাজার ৫৩৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৮১ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
এমআই