নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের জ্বালানি খাতের জন্য আগামী দুই বছর ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, 'আগামী দুই বছরের মধ্যে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে এবং এ কাজে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে।'
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ভবনে 'বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার: বঙ্গবন্ধুর দর্শন' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন।
আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশ গ্যাস সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা ভোলা থেকে অব্যবহৃত গ্যাস ঢাকায় নিয়ে আসব এবং বিশাল ভূগর্ভস্থ গ্যাস পাইপলাইনগুলোকে প্রতিস্থাপন করব।'
তিনি আরও বলেন, পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লাগবে।
বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর এখন সরকারের লক্ষ্য নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।
প্রতিমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি করে জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে শিল্পক্ষেত্রে আর গ্যাস সংকট থাকবে না।
তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছি এবং আরও তিনটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সইয়ের চেষ্টা চলছে।'
তিনি আরও বলেন, সেইসঙ্গে স্টোরেজ ও আনলোডিং ক্ষমতা বাড়াতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য আরও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। অথচ দেশে ব্যাপক গ্যাস সংকট চলছে।
তিনি বলেন, বর্তমান গ্যাস সংকট মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অনুসন্ধান কাজ যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সমীর সাত্তার বলেন, অবিলম্বে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি দেওয়ান সুলতান আহমেদ বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রায়ই অবৈধ গ্যাস সংযোগ অপসারণে তৎপর হয়। কিন্তু কোনো অর্থ ছাড়াই কতদিন ধরে এই অবৈধ গ্রাহকরা এ ধরনের গ্যাস ব্যবহার করছেন তা তারা কখনই প্রকাশ করে না।
এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা আবদুল হক বলেন, বিভিন্ন উদ্যোগের পরও গ্যাস অনুসন্ধানে বড় কোনো অগ্রগতি নেই। তাই কী কী শূন্যতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে।
এমআই