মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুর জেলায় চতুর্থ ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৯৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর প্রদান করা হবে। আর এর মাধ্যমে দিনাজপুর জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট-২০২৩) দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলাকে (নবাবগঞ্জ, খানসামা, কাহারোল ও বিরল) ভূমিহীন ও গ্রহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, "বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না" প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন আজ দিনাজপুর জেলায় বাস্তব হতে চলেছে।
৯ আগস্ট-২০২৩ তারিখ বুধবার প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় ৪৯৪টি পরিবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে সামনে রেখে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুর জেলায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে মোট ১৩২৪০টি ক-শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ঘরের সংখ্যা ছিল ১০৬১৮টি। যার কবুলিয়াত সম্পাদন, নামজারী ও হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের সকল পরিবারের জন্য টিউবওয়েল এবং বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, দিনাজপুর জেলায় চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত গৃহের সংখ্যা ২৩২৯টি। এর মধ্যে প্রথম ধাপে গত ২৩-০৩-২০২৩ তারিখে মোট ১৮৩৫টি ঘরের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনকৃত
ঘরসমূহের কবুলিয়াত সম্পাদন, নামজারী সম্পন্ন ও হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৯৪টি ঘর ৯ আগস্ট-২০২৩ তারিখ বুধবার প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এ ঘরসমূহ উদ্বোধনের মাধ্যমে দিনাজপুর জেলা ভূমিহীন এবং গৃহহীনমুক্ত হবে।
চতুর্থ দাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৯৪টি ঘরের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১৫১টি, বোচাগঞ্জে ৭৫টি, বীরগঞ্জে ১৩৬টি, চিরিরবন্দরে ২৫টি, পার্বতীপুরে ৬০টি, বিরামপুরে ১৭টি ও হাকিমপুর উপজেলায় ৩০টি ঘর রয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত ও প্রদানকৃত মোট ১৩২৪০টি ঘরের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় রয়েছে ১১০১টি ঘর, বিরলে ৬৮৬টি, বোচাগঞ্জে ৯২৫টি, কাহারোলে ৪৬৭টি, বীরগঞ্জে ১৩০০টি, খানসামায় ১৩১৬টি, চিরিরবন্দরে ৭৬৫টি, পার্বতীপুরে ৭৮৮টি, ফুলবাড়ীতে ১২৭০টি, নবাবগঞ্জে ৯৯১টি, বিরামপুরে ১২৩৪টি, হাকিম পুরে ৫১০টি ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশী ১৮৮৭টি ঘর রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর