সুদেব রায়:
নীলফামারী সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৭ আগস্ট) রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান চালায়।
দুদক সূত্র জানায়, নীলফামারী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় দুদক টিম।
অভিযোগ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের ছুটিজনিত অনুপস্থিতির কারণে হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলা হয় এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। হাসপাতালে কোনো হৃদরোগ বিভাগ নেই তবে একজন ডাক্তার আছেন যাকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জানান, হৃদরোগের ডাক্তার সপ্তায় ৩ দিন হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন। হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে সেবাপ্রার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় যথাসাধ্য চেষ্টা করা সত্বেও প্রত্যাশিত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
অভিযানকালে ৩৫ জন ডাক্তারের মধ্যে ৫ জনকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়, ১৩৮ জন নার্সের মধ্যে ২৫ জনকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন পদের ৬ জন অফিস স্টাফকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
দুদকের অভিযান সংশ্লিষ্টরা বলেন, অভিযানকালে প্যাথলজির রসিদ প্রদান করার সময় নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের দায়ে ২ জন অফিস সহায়ককে হাতেনাতে ধরা হয়। হাসপাতালের কার্যক্রমে যেন বিঘ্ন না ঘটে এজন্য তাদেরকে সহকারী পরিচালকের তত্বাবধায়নে দিয়ে দুদক টিম চলে আসে। অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করে এবং পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ করবে না বলে লিখিত দেয়।
সময় জার্নাল/এলআর