আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সংসদে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে তিন দিনের বিতর্ক। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তার মিত্রদের সংখ্যা বেশি থাকায় এই পরাজয় আশা করেনি সরকার।
মোদি অনাস্থা ভোটকে “ভারতের মানহানি” বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বিরোধী দলগুলো এই প্রচেষ্টাকে সমালোচনা করেছেন।
বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, মনিপুর রাজ্যে জাতিগত সংঘাতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করায় এই অনাস্থা প্রস্তাব উঠেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি গোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু উপজাতি কুকিদের মধ্যকার সংঘর্ষে মে থেকে মণিপুর অঞ্চলে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। সহিংসতা শুরু হলেও সাথে সাথে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংঘর্ষে দুইজন নারীকে নগ্ন করে লাঞ্চিত করার একটি ভিডিও বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
২০ জুলাই শুরু হওয়া পার্লামেন্টের অধিবেশনে মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে কোনো মন্তব্য না করায় মোদির সমালোচনা করেন বিরোধী দলের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটের আগে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বক্তৃতা দিলেও নরেন্দ্র মোদি মণিপুর নিয়ে কোন কথা বলেননি।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন। নিজের দুই ঘণ্টা বক্তৃতার শেষের দিকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ফেডারেল এবং রাজ্য সরকার সমস্যাগ্রস্ত রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করছেন।
মণিপুরের জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশ আপনাদের সাথে আছে, এই সরকার আপনাদের সাথে আছে। আমরা হাতে হাত মিলিয়ে এ সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করব।
বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মণিপুরকে “রাজনৈতিক খেলার স্থল” হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন তিনি।
ভারতের জনগণের ওপর, সরকারের ক্ষমতার ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। এই অনাস্থা ভোটকে তিনি ভারতের জনগণের আত্মবিশ্বাসে চির ধরার অপচেষ্টা বলে অবহিত করেছেন।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বারের মতো মোদি সরকার অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হন।
২০১৮ সালে একজন আইনপ্রণেতা দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যকে একটি বিশেষ বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর