নুশরাত জাহান সূচি, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রতিফলন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা।
রোববার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির 'বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পূর্বাপরঃ ন্যায় বিচারের স্বরূপ সন্ধান' শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, নিছক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অযুহাতে মুক্তিযুদ্ধের পরাশক্তিরা দেশের উন্নয়নকে স্থবির করতে চাচ্ছে। একচোখা নীতিতে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে নিয়েই আসন্ন নির্বাচনে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
আয়োজক সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ, মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান।
অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বর্তমান প্রজন্ম সত্যিকারের হানাদারবাহিনীকে চেনে না। মুক্তিযুদ্ধের পর বিদেশী পর্যবেক্ষকদের জিয়াউর রহমান দেশে আসতে দেননি বরং ইতিহাস চাপা রাখতে চেয়েছেন। বিএনপি জামায়াত দেশটাকে পুনরায় পাকিস্তানে রুপান্তরিত করতে চেয়েছেন। এরপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা হাল ধরেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতায় বিশ্বের সব পরাশক্তিরা এখন বাংলদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত না করে সঠিক ইতিহাস জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান বলেন, দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাকিস্তান চিরকালই অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। ভারতেও রাজনৈতিক অবস্থা সংকটাপন্ন। ভারত ও ইসরাইল উভয়েই মুসলিম বিদ্বেষী। ভারত নিজেদের জনগণের বিপরীতে সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে। বঙ্গবন্ধু তার উদার মানবিকতা দিয়ে সব ধরণের সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন।
এমআই