সর্বশেষ সংবাদ
ডা. সাঈদ সুজন :
সাইলেন্ট কিলার ডিজেজের লিস্টে এক নাম্বারে হাইপারটেনশন। তারপরে আছে ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনি ডিজেজ, অকাল্ট ক্যান্সার। আজ ১৭ মে, বিশ্ব উচ্চ রক্ত চাপ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য- Measure Your Blood Pressure Accurately, Control It, Live Longer,
আসুন এবার জেনে নেই এই রোগ সম্পর্কে কিছু মজার কথা।
👉১। এই রোগের সম্পর্কে এতো বেশি রিসার্চ হয়েছে, তবুও ৯০% কারন অজানা এই রোগের কারনের। যাকে প্রাইমারী হাইপারটেনশন বলে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের হাইপারটেনশন আছে। Ice Berg এর মত, বেশির রোগী জানেন না, এটা তিনি বহন করছেন।
👉২। আমেরিকার প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষের ; যা জনসংখ্যার ৩৩% মানুষের উচ্চ রক্তচাপ আছে। আসল কথা হলো- তার ৫৩% রোগীর আনকন্ট্রোলড হাইপারটেনশন।
👉৩। ব্লাড প্রেশারের সাথে ডায়েবেটিস এর একটা মিল হলো- দুজনেরই ৩টা অরগান ড্যামেজ করার টেন্ডেন্সি খুব বেশি। তা হলো- রেটিনা, কিডনি আর নার্ভাস সিস্টেম।
👉৪। হাইপারটেনশনের চিকিৎসা ফরমুলা- ABCD ( বয়স 50এর কম হইলে – AB, বয়স বেশি হইলে –CD ) , এখানে এবি মানে- এঞ্জিওটেন্সিনরিসিপ্টর ব্লকার, বিটা ব্লকার ; সিডি মানে- ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, ডাইউরেটিক্স। তবে ডেভিডসন আংকেল এর নতুন এডিশনে বিটা ব্লকারকে বাদ দিয়েছে।।
👉৫। মানসিক চাপে প্রেশার বাড়ে, কিন্তু উচ্চ রক্ত চাপে আরো বেশি মানসিক চাপ বাড়ে। 😛 কমার উপায় নাই।।
👉৬। কিডনি রোগে কিছু না থাকলেও উচ্চ রক্ত চাপ হবেই। আবার উচ্চ রক্তচাপে কিডনি রোগ হয় অনায়াশে। তাই প্রেশার নিয়ন্ত্রনের বিকল্প নাই।
👉৭। পৃথিবীতে Non communicable disease এ মানুষ মরার ১ নম্বর কারন হলো এই উচ্চ রক্তচাপ অথবা তার কপ্লিকেশন । 💫
👉৮। মজার কথা হলো- এই রোগ ধরা পড়ার জন্য রোগী কখনো ডাক্তারের কাছে যায় না। অন্য রোগের জন্য যায়। কিন্তু ধরা পড়ার পর সাড়া বছর এইটার জন্যই দৌড়ানো লাগে। 🥴🥴
👉৯। সবার জানা দরকার- প্রেশার কম থাকা কোনো রোগ নয়, যদি তা সব সময়ই কম থাকে। যদি কোনো হরমোনাল বা সিস্টেমিক ডিজেজ না থাকে।
👉১০। ঘাড়ে ব্যাথা করা মানেই প্রেশারের সমস্যা , এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুল ধারনা। বরং মাথা ব্যাথা,মাথা ঝিন ঝিন করা হাইপারটেনশনের প্রধান কমপ্লেইন। আর কমপ্লিকেশনের জন্য তো স্পেসিফিক সমস্যা আছেই।
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল