এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইজিবাইক চালক শাজাহান বেপারীর চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড সহ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সংক্রান্ত এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা টিআই তুহিন লস্কর সহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা বৃন্দ।
এ সময় ফরিদপুরের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয় গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা হতে ২৫ জানুয়ারি সকাল ৮ টার মধ্যে যেকোনো সময় বাদীর চাচাতো ভাই শাজাহান বেপারী (৪০) গলায় গামছা ও মাফলার দিয়ে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে গুম করেছ বলে বাদী এজাহার দায়ের করেন । এরই পরিণতিতে গত ২৩ /৮/ ২০২৩ তারিখে ঢাকা মহানগরীর কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মহম্মদ আজিজুল মুন্সী(৩২) ও আসামি মোহাম্মদ হৃদয় মাতব্বর(২৫মসজিদ সংলগ্ন জনৈক ও আব্দুল শেখের ব্যাটারির দোকানে কুড়ি হাজার টাকা বিক্রি করে চলে যায়। ইতোমধ্যে জনৈক আব্দুল শেখের গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তাকে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন শরিফা কান্দি হতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে শিবচর থানাধীন মালের হাট নামক স্থান থেকে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামিরা শাজাহান বেপারীর ইজি বাইক যোগে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা কথা বলে ভাড়া নেয়। এরপর মালের ঘাট মাদবর কান্দি রাজারচর নামক স্থানের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে। তারপর সদরপুর থানাধীন ক্লাব বাজার হয়ে রহমত উল্লাহ মাদবর কান্দি মাঠের মধ্যে নির্জন স্থানে সরিষা ক্ষেতের পাশে নিয়ে যায়। গত ২৫ জানুয়ারি রাত দেড়টার সময় উক্ত ঘটনা সাথে জড়িত সকল আসামীর মাফলার দিয়ে শাজাহান বেপারীর শ্বাসরোধ করে লতিফ খা এর সরিষা খেতে ফেলে তার ইজি বাইক নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানা এলাকায় চলে যায়। ভোর হয়ে যাওয়ার ফলে আসামিরা ইজির একটি রেখে ইজিবাইকের পাঁচটি ভ্যান খুলে ভাঙ্গা থানাধীন জামে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল হতে শাহজাহানের ব্যবহৃত গামছা ও আসামি হৃদয়ের গায়ে ঢাকা জ্যাকেট গলায় থাকা মাফলার দিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে এবং ঘটনার পর জ্যাকেট ও মাফলার জ্যাকেট মাঙ্কি ক্যাপ তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। এছাড়া ইজি বাইকের মুকসুদপুর থানাধীন ফতে পট্টি এলাকা হতে ভাঙ্গা থানাধীন আবুল শেখের দোকান থেকে ব্যাটারি উদ্ধার করেন বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে মামলাটি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে উক্ত আসামিরা ইতিপূর্বে এই ধরনের অপরাধ করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এমআই