নুশরাত জাহান সূচী, জবি প্রতিবেদক:
১৫ আগস্টের মাস্টারপ্ল্যান করেছিল জিয়াউর রহমান আর ২১ শে আগস্টের মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমান। তারেক রহমান আবার দেশকে অস্থির করার পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, '৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত কোনো আন্দোলনেই জিয়া ছিলেন না, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়া সৃষ্টি হয় বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হানাদার বাহিনীর পক্ষে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েই জিয়ার নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, কারন জিয়াই এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল।'
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জবি শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, '১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার জন্য। বর্তমান সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা এখনও সক্রিয় রয়েছে, এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে করে সাধারণ জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র ব্যক্তি মুজিব হত্যা নয়। খুনি জিয়া গংদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙ্গালী জাতির যে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা তা আরও দৃঢ় করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে আমরা এখন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত।
এসময় তিনি বলেন, 'জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ একমাত্র তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব আর একারণেই খুনি জিয়া পরিবার বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির দিশারীতে আঘাত হানতে চায়, সংবিধানকে ভঙ্গুর করে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে চায়। তিনি তরুণ সমাজকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন এর সঞ্চালনায় ও সভাপতি ইব্রাহিম ফরজীর সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহর হিরু। এছাড়া বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন,সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এসময় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই